ট্রেনের মধ্যে অজগর, ত্রাস দানাপুরে |
ট্রেনের কামরায় দেখা মিলল বিশালদেহী অজগরের। রাজগির-দানাপুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রী কামরায় আসনের নীচে জাঁকিয়ে বসেছিল সরীসৃপটি। আজ সকাল দশটা নাগাদ ট্রেনটি দানাপুর স্টেশনে এসে দাঁড়ানোর পর মাল নামাতে গিয়ে যাত্রীরা এমন বিচিত্র সহযাত্রীর দর্শনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসটি রাজগির থেকে ছেড়ে দানাপুরে এসে থেমেছিল। যাত্রীরা ওই ট্রেন থেকে মাল নামানোর সময় আসনের তলায় বড়সড় কিছুর অস্তিত্ব টের পান। কৌতূহলী কয়েকজন যাত্রী জিনিসটি কী, তা পরখ করতে গিয়ে আঁতকে ওঠেন। দেখা যায়, গায়ে চাকা চাকা দাগ নিয়ে বিশাল আকৃতির একটি অজগর মাঝেমাঝে নড়াচড়া করছে। খবর যায় রেল পুলিশে। ততক্ষণে স্টেশনে ভিড় জমে গিয়েছে। রেল পুলিশ বড় বাঁশ নিয়ে আসে। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর সেই বাঁশ দিয়ে টেনে বের করে আনা হয় ৪০ কিলোগ্রাম ওজনের ওই সাপটিকে। বিশালদেহী এই অনুপ্রবেশকারীকে ট্রেনচ্যুত করতে ঘণ্টা দুয়েক লেগে যায়। তারপর ফের ট্রেনটি রওনা দেয়। দানাপুর স্টেশনের রেল পুলিশের ইন্সপেক্টর সঞ্জয় বর্মা বলেন, “অজগরটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কারও কেন চোখে পড়ল না এমন বিশাল আকৃতির প্রাণীটি?
|
চার মাসে মৃত্যু ৩২টি বাঘের |
বাঘ সংরক্ষণে সরকারের সব রকম চেষ্টা সত্ত্বেও গত চার মাসে দেশে ৩২টি বাঘ মারা গিয়েছে। মাত্র চার মাসের ব্যবধানে এতগুলি বাঘ মারা যাওয়ার ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন পরিবেশমন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজন। গ্লোবাল টাইগার রিকভারি প্রোগ্রাম (জিটিআরপি)-এর প্রথম বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পরিবেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই ৩২টি বাঘের মধ্যে ১৮টির স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে।” এ দিনই রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০১২-র মে মাস পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪টি বাঘ মেরেছে চোরাশিকারিরা। তিনি বলেন, “চোরাশিকার অবশ্যই অন্যতম কারণ। এ ছাড়া খাদ্য, বাসস্থানের মতো বিষয়গুলি নিয়ে মানুষ-প্রাণী সংঘাতও একটা কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এতগুলি বাঘ কী ভাবে মারা গেল, আরও গভীরে গিয়ে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এরই পাশাপাশি, নটরাজন সংসদে জানান, গত কয়েক বছরে দেশে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। ২০০৬-এর হিসেব অনুযায়ী দেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ১৪১১। বর্তমানে এই সংখ্যা ১৭০৬। জিটিআরপি বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী জানান, বাঘ সংরক্ষণের জন্য নয়া অভয়ারণ্য তৈরি করার কথাও ভাবছে কেন্দ্র। |