গাছ কাটা নিয়ে বিতর্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
হলদিবাড়ি পুরসভা চত্বরের একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেধেছে। সম্প্রতি পুর কর্তৃপক্ষ পুরসভার অফিস সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অফিস সম্প্রসারণের জন্য পুর কর্তৃপক্ষ শতাব্দী প্রাচীন একটি শিরিষ প্রজাতির গাছ নিলাম করেছেন বলে অভিযোগ। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, বন দফতরের অনুমতি নিয়েই গাছটি নিলাম করা হয়েছে। ওই গাছটি কাটার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে হলদিবাড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি। |
|
হলদিবাড়ির এই গাছ কাটা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবি: রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়। |
ওই সংগঠনগুলির মুখপাত্র রহুল আমিন বলেন, “শহরের মধ্যে শতাব্দী প্রাচীন এই গাছটিকে না কেটেও পুরসভা অফিস সম্প্রসারণ করা যেতে পারত। কোচবিহারের মহারাজার আমলের গাছটি কাটার ব্যাপারে বন দফতর কী করে অনুমতি দিল সেটা স্পষ্ট নয়।” পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেন, “গাছটির বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে প্রচুর গাছ লাগানো হবে। বাকি অর্থ শহরের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হবে। গাছটি না কেটে উপায় ছিল না। কারণ গাছটি একদিকে হেলে ছিল। ঝোড়ো হাওয়ায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পড়ে গেলে পুরসভা ভবনের ক্ষতি হত। বন দফতরের হলদিবাড়ির বিট অফিসার নিতাই সূত্রধর বলেন, “পুরসভা থেকে বন দফতরের সমস্ত নিয়ম মেনে গাছটি কেটে ফেলার আবেদন করা হয়েছিল। কোচবিহার বনাধিকারিকের অনুমোদন আসার পরেই গাছটি কেটে ফেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।” |
|