এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সেই ছবি এমএমএসের মাধ্যমে এলাকায় ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। বর্ধমানের পূর্বস্থলীর পলাশপুলি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, আর এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
পুলিশের কাছে অভিযোগে মেয়েটির মা জানিয়েছেন, তিনি পরিচারিকার কাজ করেন। গত ১১ মে গল ব্লাডারে অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর স্বামী আমবাগান পাহারা দেওয়ার কাজে বেরোন। তাঁদের বছর পনেরোর মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। দুপুরে এলাকার দুই যুবক বাবিন রায়চৌধুরী ও তনাই শীল দেশলাই নেওয়ার ছুতোয় বাড়িতে ঢুকে মেয়েকে ধর্ষণ করে। সেই সময়ে মোবাইল ফোনে কিছু ছবিও তোলে তারা। অভিযোগ, চলে যাওয়ার সময়ে নাবালিকাকে হুমকি দেয়, এ ব্যাপারে থানায় গিয়ে লাভ হবে না। পুলিশের কাছে গেলে খুন করে দেওয়া হবে। বাড়াবাড়ি করলে মোবাইলে তোলা ছবি এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
নাবালিকার মা জানান, পর দিন বিকেলে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু মেয়ে তাঁকে কিছু জানায়নি। এলাকার মানুষজনের কাছে মেয়ের ছবি অনেকের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ার কথা জানতে পারেন তিনি। তখন মেয়েকে চাপ দিতেই সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। সোমবার রাতে মেয়েকে নিয়ে তিনি স্থানীয় বিজেপি নেতা তাপস দে-র কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান। তাপসবাবু তাঁদের পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সোমবার রাতেই পূর্বস্থলী থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই মহিলা। মঙ্গলবার তাপসবাবু বলেন, “পরিবারটি অত্যন্ত গরিব। এই ঘটনায় তাঁরা রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন।”
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই নাবালিকার মা দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত বাবিন রায়চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিনই কালনা মহকুমা হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। কালনা আদালতে তোলা হলে ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্য জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানায় পুলিশ।
কালনা ২ ব্লকের পূর্ব সাতগেছিয়া এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় বাসিন্দারা এক শিক্ষককে ঘেরাও করেন। তাঁদের অভিযোগ, গত বুধবার এই শিক্ষক টিউশন পড়ানোর নামে বাড়িতে গিয়ে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। বাড়ির লোকজন বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান। বিষয়টি জানার পরে এ দিন সকালে স্থানীয় মানুষজন ওই শিক্ষককে ঘেরাও করেন। বাসিন্দাদের দাবি, দোষ স্বীকার করে মুচলেকা দেওয়ায় ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। |