ভোগ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন শতাধিক গ্রামবাসী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আমতার ন’পাড়ার মহিষামুড়ি গ্রামে। ৭৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে আমতা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’ নয় বলেই চিকিৎসকেরা দাবি করেছেন।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গ্রামে সংকীর্তন ছিল। রাতের দিকে ‘অন্নকূট ভোগ’ খান গ্রামের অনেকে। ‘পবিত্র’ ভোগ নিয়ে যান আশপাশের নারিট, রানাপাড়া, গাজিপুর প্রভৃতি গ্রামের মানুষ। সকালেও ভোগ খেয়েছেন অনেকে। দুপুরের পর থেকে তাঁদের অনেকেরই পেটে ব্যথা শুরু হয়। সঙ্গে বমি-পায়খানা। হাসপাতালে ভিড় বাড়তে শুরু করে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত পর্যন্ত ১৭টি শিশুও অসুস্থ হয়ে এসেছে। অনেককে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। খাদ্যে ‘বিষক্রিয়া’ থেকেই এই ঘটনা বলে চিকিৎসকদের অনুমান। |
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন স্থানীয় বিধায়ক নির্মল মাজি। পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে’ আছে বলে জানিয়েছেন তিনিও। সেই সঙ্গে তাঁর সন্দেহ, খাদ্যে বিষক্রিয়ার পিছনে ‘চক্রান্ত’ থাকতে পারে। বিধায়ক চান, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। ভোগের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হোক। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি টেলিফোনে ঘটনার কথা জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন নির্মলবাবু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষামুড়ি গ্রামে এই সর্ংকীর্তন উৎসব প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো। ‘অন্নকূট ভোগ’ তৈরিতে বরাবর স্থানীয় একটি পুকুরের জল ব্যবহার করা হত। ২০১০ সালে ভোগ খেয়ে প্রায় হাজার খানেক মানুষ অসুস্থ হন। তারপর থেকে পুকুরের জলের বদলে কলের জলই ব্যবহার হয়। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের অন্যতম অনাদিকুমার পাত্রের বক্তব্য, “২০১০ সালের ঘটনা পুকুরের জল থেকেই ঘটেছিল। তারপর থেকে ভোগ তৈরিতে পুকুরের জল ব্যবহার করা হয় না। এ বার কেন এমন ঘটল, কিছুই বুঝতে পারছি না।” |