নদী ভাঙনে বিপন্ন কালচিনি ব্লকের মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা রক্ষার জন্য বিভিন্ন মহলে বড় বাঁধ তৈরির দাবি উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছর নদী ভাঙনে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি, সুপারি বাগান নষ্ট হলেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পে ছোট ছোট বাঁধ তৈরি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন সেচকর্তারা। আলিপুরদুয়ার সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নির্মলকুমার বর্মন অবশ্য বলেন, “মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নদী ভাঙন রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর থেকে এলাকা জুড়ে কালজানি ও ভাণ্ডানী নদীর তান্ডব চলছে। ভাঙনের কবলে পড়ে এলাকার উত্তর মেন্দাবাড়ি, দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি, দক্ষিণ সাঁতালি, পশ্চিম সঁতালি, উত্তর রাভাবস্তি সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিপন্ন হয়েছে। অন্তত ৩৫ বিঘা জমি নদী গর্ভে তলিয়েছে। নষ্ট হয়েছে সুপারি বাগান, রবার বাগান, সেগুন বাগান। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অভিজিৎ নার্জিনারি বলেন, “এলাকার দশটি জায়গায় বাঁধ তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ সাঁতালি-১২ , আন্দামান পাড়া, উত্তর রাভাবস্তির খাড়িয়াপাড়া, উত্তর মেন্দাবাড়ির এসএসকে বিল্ডিং লাগোয়া এলাকায় বাঁধ না-দিলে এ বার বর্ষায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।” তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পে ছোট ছোট বাঁধ নির্মাণ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেচ দফতরের কাছে নদী ভাঙন ঠেকাতে কয়েকবার বড় প্রকল্প তৈরির আর্জি জানানো হলেও লাভ হয়নি। নদী ভাঙনের সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পের কালচিনি ব্লকের নোডাল অফিসার অরুণাভ পাল। তিনি বলেন, “মেন্দাবাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায় নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। গত বছর প্রায় ১ হাজার ২০০ মিটার বাঁধ কালজানি নদী সংলগ্ন এলাকায় দেওয়া হয়েছে। এ বছর ভাণ্ডানী নদী এলাকায় বাঁধ তৈরির জন্য পঞ্চায়েত থেকে প্রকল্প জমা পড়েছে।” |