সেতু তৈরির কাজ শেষ হয়েছে দুবছর আগে। কিন্তু সেতুর ওপর ওঠার রাস্তা তৈরি না হওয়ায় বিপাকে বেরুবারির দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষোভ সমস্ত বেরুবারি এলাকায়। বেরুবারি এলাকার নগর বেরুবারি এবং খারিজা বেরুবারি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা যমুনা নদীর ওপর একটি সেতু তৈরির কাজ ৫ বছর আগে শুরু হয়। সেতুটি তৈরি করতে ৯০ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা খরচ হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের টাকায় জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের তত্বাবধানে ২০১০ সালে সেতু তৈরির কাজ শেষ হয়। সেতু তৈরি শেষ হলেও সেতুর দু’পাশে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে সেতুর ওপর ওঠার রাস্তা আর তৈরি হয়নি। দীর্ঘ টালবাহানার পরে ঠিক হয় নগর এবং খারিজা বেরুবারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি ফেলে সেতুতে ওঠার কাজ প্রাথমিক কাজ শেষ করা হবে। তার পর জেলাপরিষদ থেকে বাকি কাজ শেষ করে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে। দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা উদ্যোগী হয়ে ছয় মাস আগে মাটি ফেলে সেতুতে ওঠার প্রাথমিক কাজ শেষ করেন। তার পরে আবার সেই একই অবস্থা। |
স্থানীয় বাসিন্দারা পায়ে হেঁটে অথবা সাইকেল নিয়ে কোনও রকমে সেতু পার হচ্ছেন। সেতুর উপর দিয়ে ভ্যান রিক্সা, মোটর সাইকেল এবং গাড়ি চলাচল করতে পারে না। বেরুবারির মধ্যে দিয়ে হলদিবাড়ি যাওয়ার এটি বিকল্প রাস্তা হলেও কেউই রাস্তাটি ব্যবহার করতে না পারায় সমস্ত বেরুবারি এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়র অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, “সেতুতে ওঠার রাস্তা তৈরির দরপত্র আহ্বান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেটা শেষ হলেই সেতুতে ওঠার পাকা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করা হবে।” নগর বেরুবারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা নতিবর রহমান এবং খারিজা বেরুবারির তৃণমূল নেতা গোপাল সরকার বলেন, “এত টাকা খরচ করে সেতু তৈরির পরে যদি বাসিন্দারা ব্যবহার করতে না পারেন তাহলে সেতু বানিয়ে লাভ কী? আমরা চাই অবিলম্বে সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হোক। অন্যথায় আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হব। নগর বেরুবারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের প্রমিলা বর্মন এবং খারিজা বেরুবারি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের শঙ্কর রায় বলেন, “পরিকল্পনা আনুযায়ী আমরা মাটি ফেলে সেতুতে ওঠার প্রাথমিক কাজ শেষ করেছি। বাকি কাজ জেলা পরিষদ থেকে হবে। কেন কাজ হচ্ছে না জানি না।” |