রবিবার বিকেল থেকে রেল কলোনিগুলিতে পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা। সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত জল আসছে না দেখে নিউ জলপাইগুড়ি রেল কলোনির বাসিন্দারা রেলের অতিরিক্ত ডিভিশনাল ম্যানেজারের দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বালতি, কলসি, বোতল নিয়ে এ দিন রেল কলোনির মহিলারা অতিরিক্ত ডিভিশনাল ম্যানেজারের অফিসে যান। এডিআরএম বাইরে আছেন জেনে এরিয়া ম্যানেজারের দফতরে অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকেও পাননি। এর পর সহকারি বিভাগীয় বাস্তুকার-১(এডিই)-এর দফতর ঘেরাও করেন। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এডিই রবি চন্দ বর্মা বলেন, “সরবরাহ করার জন্য পানীয় জল মহানন্দা নদী থেকে সংগ্রহ করা হয়। পরিস্রুত করে তা সরবরাহ হয়। গরমের মরসুমের জন্য নদীতে জল কমে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে চেষ্টা চলছে। এ দিন বিকেল থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে।” পানীয় জল নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হওয়ায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় ডিএস কলোনি, সিস্টার কলোনি, সেন্ট্রাল কলোনি, নর্থ কলোনি, কাশ্মীর কলোনি-সহ বিভিন্ন রেল কলোনি এলাকায় প্রায় হাজার তিনেক বাসিন্দা রয়েছেন। পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন সকলেই। সেন্ট্রাল কলোনির বাসিন্দা সুমন সিংহ, নর্থ কলোনির রেনু দেবী, সুস্মিতা দেবনাথদের অভিযোগ, রবিবার বিকেল থেকে রেলের কোয়ার্টারগুলিতে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে রয়েছে। সোমবার সকালে ৫/১০ মিনিটের জন্য সরু সুতোর মতো ধারায় জল পড়ে। তার পর বন্ধ হয়ে যায়। জল না মেলায় গরমে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সেন্ট্রাল কলোনির বাসিন্দা রত্না সরকার বলেন, “রেলের কোয়ার্টারগুলিতে পানীয় জল না মেলায় বাধ্য হয়ে অনেকটা দূরে পুরসভার উদ্যোগে তৈরি রাস্তার স্ট্যান্ড পোস্ট থেকে জল আনতে হচ্ছে। না হলে তো রান্না-খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না। গরমের সময় মাঝে মধ্যেই এ জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।” রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৭ টা, বেলা ১২ টা এবং বিকেল ৫ টার সময় রেলের তরফে কোয়ার্টারগুলিতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পানীয় জল নিয়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।
রেলের তরফে অনেক সময়ই ঘোলা জল সরবরাহ করা হচ্ছে। রবিবার বিকেল থেকে জল না মেলায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা এ দিন নিউ জলপাইগুড়িতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল কর্মী সংগঠনে গিয়ে বিষয়টি জানান। এর পর কর্মী সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে ক্ষুব্ধ মহিলারা এডিআরএম, এরিয়া ম্যানেজারের অফিসে যান অভিযোগ জানাতে। নিউ জলপাইগুড়িতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের দু’টি শাখা রয়েছে। শাখা দু’টির সম্পাদক ভাস্কার ধর, রঞ্জন চন্দরা জানান, পানীয় জলের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে পরিষেবা দিতে কর্তৃপক্ষের আরও তৎপর হওয়া দরকার। গরমে জলকষ্ট হলে সকলকেই দুর্ভোগে পড়তে হয়। কতৃর্পক্ষ সমস্যা মেটাতে এ দিন আশ্বাস দেওয়ায় ঘেরাও তোলা হয়। |