|
|
|
|
হারানো কিশোরকে বাড়ি ফেরালেন ওসি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
পাগল ভেবে রাস্তার ‘দুষ্টু’ ছেলেরা তার সঙ্গে অসভ্যতা করছিল। কেউ কেউ ইটের টুকরোও ছুঁড়ছিল খেপানোর জন্য। সানোয়ার মণ্ডলের অবশ্য সেদিকে ভ্রূক্ষেপ ছিল না সে শুধু মিটিমিটি হাসছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জিঞ্জিরাবাজারের নতুন নগর এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় তদন্ত কেন্দ্রের ওসি’র নজরে পড়ে ঘটনাটি। ভবঘুরে ছেলেটিকে নিজের গাড়িতে তুলে নেন তিনি। তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রথমে অবশ্য কোনও সাড়া মেলেনি।
থানাতেই চার দিন ছিল সানোয়ার। যদি কিছু জানা যায়, এই আশায় কাজের ফাঁকে সানোয়ারকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন। যদি কেউ চিনতে পারে। শেষ পর্যন্ত হতাশই হতে হয়েছিল ওই পুলিশ অফিসারকে। অফিসারের কথায়, “হতাশ হলেও হাল ছাড়িনি। বুঝেছিলাম ও মানসিক প্রতিবন্ধী। তাই নিজের কাছেই রেখেছিলাম। ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত মুখ খোলে ও। জানতে পারি বাড়ির কথা বলছে। তারপরেই খোঁজখবর করে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় থানার সূর্যপুরে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করি। খুবই দরিদ্র পরিবার।”
সোমবার সানোয়ারের বিকালে সানোয়ারের বাবা-মা জিঞ্জিরাবাজার তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে ছেলেকে ফিরিয়ে এনেছেন। বাবা গণি মণ্ডল বলেন, “এগারো দিন ধরে ছেলেটা নিখোঁজ ছিল। অনেক খুঁজেও না পেয়ে টিটাগড় থানায় গত ৯ মে নিখোঁজ ডায়েরি করি। কি করে ছেলেটা এতদূর চলে এল জানি না। ওই পুলিশ পুলিশ অফিসার না থাকলে ছেলেকে আর হয়তো ফিরে পেতাম না বড় ছেলেটা কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক হয়ে মারা গিয়েছে। এখন ওই-ই আমাদের একমাত্র সম্বল।”
সানোয়ারকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জিঞ্জিরাবাজার তদন্ত কেন্দ্রের ওসি’র ভূমিকায় খুশি জেলার পুলিশ সুপার প্রবীন ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, “যথার্থ পুলিশের ভূমিকা পালন করেছেন ওই অফিসার। পুলিশ তো মানুষের উপকারের জন্যই।” |
|
|
|
|
|