চার প্রাণের বিনিময়ে ফিরছে হুঁশ
যশোহর রোডে গাছের দেখভালে উদ্যোগী প্রশাসন
পেট্রাপোল থেকে হাবরা পর্যন্ত যশোহর রোডের দু’ধার বরাবর ‘বিপজ্জনক’ গাছ বা গাছের ডাল কেটে ফেলায় উদ্যোগী হল প্রশাসন। এ বিষয়ে সোমবার বনগাঁর মহকুমাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের দফতরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে মহকুমাশাসক ছাড়াও ছিলেন বনগাঁর এসডিপিও জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়, গাইঘাটার ওসি অরিন্দম ভট্টাচার্য, বনগাঁর আইসি স্বপনকুমার দে এবং জাতীয় সড়ক ও বন দফতরের প্রতিনিধিরা।
মহকুমাশাসক বলেন, “বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও পঞ্চায়েত সমিতি যৌথ ভাবে যশোহর রোডের দু’ধারের ক্ষতিগ্রস্ত গাছ ও গাছের শুকনো ডালগুলি চিহ্নিত করবেন। তার পরে বন দফতরের অনুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে তা কাটার ব্যবস্থা করা হবে।” যৌথ এই সমীক্ষার কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
ফাইল চিত্র।
যশোহর রোডের ধারে শিরিষ, মেহগনি, শিশু, লম্বু, বট, আম প্রভৃতি অসংখ্য গাছ আছে। গাছ মারা গেলে তো বটেই সুযোগ পেলে জীবন্ত গাছের ডাল কেটেও বিক্রি করে দেয় কাঠচোরেরা। প্রাচীন গাছগুলি দেখভালের অভাবে ক্রমে মৃত্যুপ্রায় হয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ। গত ৬ মে গাইঘাটার মণ্ডলপাড়ায় গাছের ডাল কেটে চুরি করছিল দুষ্কৃতীরা। ডাল ভেঙে পড়ে একটি অটোর উপরে। মারা যান চার মহিলা। ওই ঘটনায় ভোলা বিশ্বাস নামে এক যুবককে কাঠচুরির অভিযোগে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ডাল কাটার ঘটনায় যুক্ত ছিল তিন জন। পরে সঞ্জয় দাস নামে অশোকনগরের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে দেবীনগর থেকে মন্টা মণ্ডল নামে আরও এক কাঠচোর গ্রেফতার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, কাঠচুরি রুখতে টহল বাড়ানো হয়েছে। অন্য কাঠচোরদের তালিকা তৈরি করে তাদের খোঁজ চলছে।
গাইঘাটায় দুর্ঘটনার পরে কাঠচুরি রোখা কিংবা গাছের দেখভাল নিয়ে দায়িত্ব কে নেবে, তা নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। মহকুমাশাসক এ দিন বলেন, “বিপজ্জনক গাছ কিংবা ডাল কাটা হলে দুর্ঘটনা কমানো যাবে।” কিন্তু গাছের গায়ে পেরেক-গজাল পোঁতা, ঘুঁটে দেওয়া কিংবা গরম জল ফেলা রুখতে কী পদক্ষেপ করা হবে? এ ব্যাপারে অভিজিৎবাবুর বক্তব্য, “গাছের গায়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া বেআইনি। এ বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কিন্তু পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে হাবরা পর্যন্ত এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, হাবরা পেরিয়েও মধ্যমগ্রাম-নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত যশোহর রোডের ধারে বড় গাছ আছে। একই সমস্যা আছে সেখানেও। সে ক্ষেত্রেও যদি পদক্ষেপ করা হয়, তা হলে ভাল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.