|
|
|
|
তৃণমূল ভয় পেয়েছে বলেই ভয় দেখাচ্ছে, কটাক্ষ সূর্যকান্তের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাঁশকুড়া ও হলদিয়া |
ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই তৃণমূল ভয় পেয়েছে বলেই বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে, সে কারণেই পুরভোটেও মনোনয়নে বাধা, মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হয়েছে। প্রচারেও বাধা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর বক্তব্য, “আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা যাতে প্রার্থী দিতে না পারে, সে জন্য পুরভোটেই সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে একটা পরীক্ষা করতে চাইছে শাসকদল। তা সত্ত্বেও বামপন্থীরা সর্বত্র প্রার্থী দিয়েছে। ভয়কে জয় করেই বামপন্থীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, লড়াই চলবে।” তবে কোনও অবস্থাতেই প্ররোচিত হওয়া যাবে না, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে, আইন মানতে হবে এবং সর্বোপরি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করতে হবে বলেও বামপন্থী কর্মীদের মনে করিয়ে দেন সূর্যবাবু। |
|
পাঁশকুড়ায় সূর্যকান্ত মিশ্র |
সোমবার পাঁশকুড়ার প্রতাপপুর জুনিয়র-বেসিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কর্মিসভার মাধ্যমে পুরভোটের প্রচার-কাজের সূচনা করেন সূর্যবাবু।
বর্ষপূর্তিতে তৃণমূলের রাজ্য সরকার নিজের ঢাক নিজেই পেটাচ্ছে বলে কটাক্ষ করে সূর্যবাবুর বক্তব্য, “মানুষ ঢাক পেটাচ্ছে না বলেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ম করে বলতে হচ্ছে কত দিনে কত কাজ করেছেন! উনি নিজেই প্রশ্ন করছেন, উত্তর দিচ্ছেন, নম্বরও দিয়ে দিচ্ছেন! মানুষ বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়েই যা বোঝার বুঝছেন।” লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাউদের মতো নেতা জেলবন্দি থাকা সত্ত্বেও পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া-পাঁশকুড়ার পুরভোটে সমস্যা হবে না দাবি করে তিনি বলেন, “ওঁরা থাকলে ভালই হত। কিন্তু আমরা ব্যক্তিনির্ভর নয়। সংগঠন আর জনগণই সব।” |
|
হলদিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী। |
লক্ষ্মণবাবুরা প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন এবং পুরভোটে তার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ারও ডাক দেন সূর্যবাবু।
বামেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের নেতা তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী এ দিন সভা করেন হলদিয়ার সিটি সেন্টারে। ১১ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতেই শুভেন্দুর এ দিনের সভা। তাঁর বক্তব্য, “পঞ্চায়েত, লোকসভা, বিধানসভা ভোটে সিপিএমকে জবাব দিয়েছেন মানুষ। জেলায় বিধানসভার সব আসনে ওরা হেরেছে। এ বার হলদিয়ার পুরবোর্ডও বিরোধীশূন্য হবে।” শুভেন্দুর দাবি, “নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত শুরু করতেই লক্ষ্মণ শেঠরা পালিয়ে প্রমাণ করেছেন ওঁদের অপরাধ। আরও অনেক সিপিএম নেতারও ঠাঁই হবে জেলে।” |
নিজস্ব চিত্র। |
|
|
|
|
|