ভূগর্ভস্থ জল তুলে নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আসানসোল পুরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন পুরসভার কাছে। তাঁদের অভিযোগ, সে কারণে পুরসভার গভীর নলকূপ থেকে জল পাওয়া যাচ্ছে না। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পুরসভার তরফে জানানো হয়, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
পুরসভার জল দফতরের মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম জানান, যথেচ্ছ পরিমাণে মাটির তলার জল তুলে নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছে বেশ কিছু সংস্থা। তার ফলে জলস্তর দ্রুত নীচে নেমে যাচ্ছে। কুয়ো শুকিয়ে যাচ্ছে। গভীর নলকূপ থেকেও জল পাওয়া যাচ্ছে না। এমনিতেই গ্রীষ্মে আসানসোল পুরসভা ও আশপাশের এলাকায় জলকষ্ট দেখা দেয়। তার উপরে নির্মাণের জন্য জল তোলায় সাধারণ মানুষ রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন। রবিউল ইসলাম জানান, ভূগর্ভস্থ জল বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহার বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
রবিউল ইসলাম জানান, শহরে সম্প্রতি বেশ কিছু সংস্থা কয়েক হাজার বহুতল গড়ছে। তারা প্রত্যেকেই এলাকায় ‘সাবমার্সিবল’ পাম্প লাগিয়ে ভূগর্ভস্থ জল তুলছে। ওই মেয়র পারিষদ জানান, পুরসভা আইনে বলা রয়েছে, পুর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পান করার জন্য ভূগর্ভস্থ জল তোলা যাবে। কিন্তু নির্মাণ শিল্পে এই জল ব্যবহার করা যাবে না। তিনি বলেন, “শহরে এই মুহূর্তে অন্তত চারটি বড় বাণিজ্যিক সংস্থা বহুতল আবাসন গড়ছে। এ ছাড়া কিছু ছোট সংস্থাও ভূগর্ভস্থ জল তুলেই কাজ করছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করেছি।”
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে পুরসভার বাস্তুকরেরা গভীর নলকূপগুলি পরীক্ষা করতে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, জলস্তর নেমে যাওয়ার জন্যই নলকূপগুলি থেকে জল পাওয়া যাচ্ছে না। নির্মাণ শিল্পের জন্য ভূগর্ভস্থ জল যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলেই জলস্তর নেমে গিয়েছে বলেও ইঞ্জিনিয়ারেরা বুঝতে পারেন। রবিউল ইসলাম জানান, ওই সব সংস্থাকে জল তোলা বন্ধ করার জন্য চিঠি পাঠানো হচ্ছে। তারা নির্দেশ না মানলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। |