সংক্রমণে স্ত্রী হাতির মত্যু |
সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল একটি বুনো স্ত্রী হাতির। সোমবার সকালে ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ভিতর থেকেই ধূপঝোরা বিটের দক্ষিণ ইংডং বিটের বনকর্মীরা ওই স্ত্রী হাতিটির দেহ উদ্ধার করেন। গভীর জঙ্গলের ভিতরেই হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হয়। ঘটনাস্থলে ছিলেন জলপাইগুড়ি বনপ্রাণ-২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক। তিনি বলেন, “সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।” এদিকে হাতিটির শরীর থেকে রক্তপাতও হয়েছে। সেটি হাতিটির পড়ে যাওয়া থেকে আঘাত লেগে হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে সংক্রমণটি ঠিক কী ধরণের তা বেশ কিছু নিরীক্ষা না করে এখনই বলা যাবে না বলে ডিএফও জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ৫ মে কালিম্পং বনবিভাগের তুড়িবাড়ি লাগোয়া এলাকাতে একটি হাতির মৃতদেহ পাওয়া যায় ময়নাতদন্তের পর কালিম্পঙ বনবিভাগের বনকর্তারা সংক্রমণের কারনেই হাতিটির মৃত্যু বলে জানান। এ দিকে জাতীয় উদ্যানের ভিতরে সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে হাতির মৃত্যুর পরে কেন বন দফতর টের পেল সেই প্রশ্ন উঠেছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নানা পরিবেশপ্রেমী সংস্থা। লাটাগুড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠন গ্রীন লেবেলের সম্পাদক অনির্বাণ মজুমদার বলেন, “হাতিটি যদি সংক্রমণে মারা গিয়ে থাকে তাহলে সে দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় যন্ত্রণা পেয়েছে। টহলদার বনকর্মীরা এতদিন সেটা কী টেরই পাননি?” তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় বনবস্তীর বাসিন্দারা এই অসুস্থ হাতিটির কথা জানতেন। কেবল বন দফতরই অন্ধকারে ছিল। ওদলাবাড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠন নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সংগঠনের সম্পাদক সুজিত দাস বলেন, “বন দফতরে অবিলম্বে কর্মী নিয়োগ প্রয়োজন। বনকর্মী প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে।” আন্দোলন। সরকারি বিভিন্ন সুবিধার দাবিতে আন্দোলনে নামল উত্তর দিনাজপুর জেলা পুরোহিত সমিতি। সোমবার দুপুরে সমিতির সদস্যরা রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠান। জেলাশাসকে দফতরে তা দেওয়া হয়। সংগঠনের সহ সম্পাদক অমল চক্রবর্তী বলেন, “পুরোহিতদের মাসিক ৩ হাজার টাকা ভাতা, বয়স্ক ও অসুস্থদের পেনশন, পুরোহিতদের নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ একাধিক দাবি জানানো হয়।”
|
১২টি গরুর মৃত্যু, ধৃত দুই |
কীটনাশক দেওয়া খেতের সব্জি খেয়ে ১২টি গরু মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে। সোমবার কেন্দা থানার দোরডি গ্রামের ঘটনা। দোরডি গ্রামের গরু-বাছুর লাগোয়া কেবলডি গ্রামের মাঠে চরতে যায়। এলাকার বাসিন্দা মেঘনাদ গোপ, মধুসূদন গোপ, চণ্ডী গোপরা বলেন, “রবিবার বিকেলে দেখি, কয়েকটা গরু টলতে টলতে বাড়ির সামনে এসে লুটিয়ে পড়ল। মুখে ফেনা উঠছিল।” তাঁদের দাবি, দোরডি ও কেবলডির মাঝেও তাঁদের গ্রামের গরু-বাছুর মরে পড়ে ছিল। গ্রামবাসী মন্টু গোপ বলেন, “আমাদের গ্রামের পাঁচ জনের ১২টি গরু-বাছুর মরেছে। আমাদের সন্দেহ, লাগোয়া সব্জি খেতে অতিরিক্ত কীটনাশক ছড়ানোয় গরুগুলি মরেছে। রবিবার রাতেই আমরা কেন্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করি।” পুলিশ জানিয়েছে, লাগোয়া তিলাডি গ্রামের কয়েক জন চাষি সব্জির পাশাপাশি আখ চাষ করেন। আখ গাছের গোড়ায় উই মারার জন্য সম্প্রতি কীটনাশক দেওয়া হয়েছিল। তা থেকে ওই বিপত্তি হয়ে থাকতে পারে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিলাডি গ্রামের অনিল মাঝি ও মকর মাঝিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
পুকুরে কুমির, আতঙ্ক রায়দিঘিতে |
পুকুরে ঢুকে পড়া একটি কুমিরকে ঘিরে সোমবার আতঙ্ক ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির উত্তর কনকনদিঘি গ্রামে। এ দিন সকালে গ্রামবাসীরা পুকুরে জল তোলপাড় হতে দেখে কৌতূহল বশে পুকুরের ধারে যান। সেখানে পুকুরের মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক কুমীরকে দেখে হইচই শুরু হয়ে যায়। খবর যায় বন দফতরের রায়দিঘি রেঞ্জে। বন দফতরের লোকজন গিয়ে পুকুরে জাল পেলে বহু চেষ্টায় কুমিরটিকে ধরতে সক্ষম হন। পরে সেটিকে ভাগবতপুর কুমির প্রকল্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জেলার অতিরিক্ত বনাধিকারিক সমীর পাল বলেন, “সম্ভবত জোয়ারের সময় কোনওভাবে মনি নদী থেকে কুমীরটি পুকুরে চলে এসেছিল।” |