সরকার এবং ধর্মঘটী পাইলটরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার অচলাবস্থা আজ সপ্তম দিনে পড়ল। আর সাত দিনের ধর্মঘটের ফলে সংস্থার ক্ষতির পরিমাণ ১৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার এক কর্তা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আজই বৈঠকে বসে এয়ার ইন্ডিয়া বোর্ড। ঠিক হয়েছে, এই ক্ষতি সামালাতে এয়ার ইন্ডিয়ার স্থাবর সম্পত্তিকে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা হবে। এই ভাবে বছরে ৫০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে ৭১ জন পাইলটকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানানো হয়েছে বৈঠকে। |
উড়ান বাতিল এয়ার ইন্ডিয়ার। বিশ্রামে যাত্রীরা। মুম্বইয়ে। ছবি: এ পি। |
এই টানাপোড়েনের মধ্যে আজ দিল্লিতে বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহের বাসভবনে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন ধর্মঘটী পাইলটদের সংগঠন আইপিজি-র বেশ কিছু কর্তা। কিন্তু মন্ত্রী সেই সময় সংসদে ছিলেন। অজিত সিংহ বলেন, “বৈঠকের ব্যাপারে আমার কাছে আগাম কোনও খবরই ছিল না। আমার ব্যক্তিগত সচিব জানিয়েছেন, পাইলটরা এসেছিলেন।” যদিও পরে ধর্মঘটী পাইলটদের সঙ্গে দেখা করে অজিত সিংহ তাঁদের বলেন, “আগে আপনারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন, তার পরে আপনাদের সঙ্গে বৈঠক করব।” কিন্তু ধর্মঘট প্রত্যাহারের কোনও ইঙ্গিত পাইলটরা দেননি। আইপিজি সূত্রে খবর, এর মধ্যেই আজ বেশ কিছু ধর্মঘটী বিমান মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে নিজেদের দাবিদাওয়া সংক্রান্ত নথিপত্র তুলে দিয়েছেন।
এর সঙ্গে জারি রয়েছে যাত্রীদের দুর্ভোগও। পাইলটদের ধর্মঘটের ফলে আজও বাতিল হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক উড়ান। ক্রমাগত এই দুর্ভোগের প্রতিবাদে কাল রাতে মুম্বই বিমানবন্দরের বাইরে রাস্তা অবরোধ করেন যাত্রীরা। এ দিন সকালেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে সিআইএসএফ জওয়ানদের পাঠানো হয়েছে। ক্ষুব্ধ এক যাত্রীর অভিযোগ, “এয়ার ইন্ডিয়ার এই অচলাবস্থার জেরে আমরা খুবই সমস্যায় পড়েছি। তিন-চার ঘণ্টা ধরে আমরা অপেক্ষা করে রয়েছি। কিন্তু কেউ আমাদের প্রাথমিক খবরটুকুও দিচ্ছে না।” আর এক যাত্রীর কথায়, “কেউ আমাদের কিছুই বলছে না। আমাদের খাবার-দাবারও নেই। আমরা রাস্তায় পড়ে রয়েছি।” যদিও এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের দাবি, এগ্জিকিউটিভ পাইলটদের দিয়ে আজ আটটি বিমান চালানো হয়েছে। আগেই এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, যাত্রী পরিষেবা অটুট রাখতে এগ্জিকিউটিভ পাইলটদের দিয়ে বিমান চালানো হবে। |