বর্ষায় কলকাতার উত্তর ও দক্ষিণে মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সোমবার মহাকরণের রোটান্ডায় সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের সঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষের বৈঠকের পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উত্তর শহরতলিতে নোয়াপাড়া-বরাহনগর-দক্ষিণেশ্বর হয়ে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণে পথের কাঁটা বাগজোলা ও উদয়পুর খাল। দক্ষিণে বিবাদী বাগ-জোকা রুটেও বহু সমস্যার উৎস চড়িয়াল খাল। মেট্রোর কাজে দু’টি খালের গতি রুদ্ধ হলে বর্ষায় ভাসতে পারে লেকটাউন, কেষ্টপুর, রাজারহাট, কামারহাটি, বরাহনগর ও দক্ষিণে বেহালার একটি বড় অংশ। ওই অঞ্চলগুলির বিধায়ক বা পুরকর্তারাও এ দিনের বৈঠকে ছিলেন। ২০১৫-’১৬ সালের মধ্যে মেট্রো সম্প্রসারণের এই কাজ সেরে ফেলার কথা বলে খবর।
সেচমন্ত্রী পরে বলেন, “নাগরিকদের অসুবিধা না ঘটিয়েই মেট্রোর কাজ চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। মেট্রোর হয়ে যাঁরা কাজটি করছেন, সেই ‘রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড’ সংস্থার বিশেষজ্ঞ ও সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা এটি মাথায় রাখছেন।”
সেচ দফতর সূত্রের খবর, চড়িয়াল খালে মেট্রোর কাজ চালাতে ইতিমধ্যে সেচ দফতরের সঙ্গে একটি ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। উত্তরে বাগজোলা-উদয়পুরে কাজের জন্য ‘মউ’-ও শীঘ্রই স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। এ দিনে বৈঠকে আপাতত কয়েকটি বিষয়ে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
• মেট্রোর কাজের সরঞ্জাম নিয়ে যেতে চড়িয়ালে খালের উপরে একটি অস্থায়ী কংক্রিটের কাঠামো হবে।
• চড়িয়াল খালের বাঁ দিকে একটি জমি মেট্রো-সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহার করার অবকাশ আছে। সেচ দফতরের ওই জমি নিয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন।
• বাগজোলা-উদয়পুরের সংযোগস্থলে কিছু নির্মাণকাজের দরকার। ওই তল্লাটে দু’টি সেতু চওড়া করা গেলে বর্ষায় ভোগান্তি ঠেকানো যেতে পারে। সেচ দফতরের তরফে মেট্রোকে ওই সেতু নির্মাণের অনুরোধ করা হয়েছে।
মেট্রোর মুখপাত্র প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “রেল বোর্ডের সঙ্গে ওই সেতু দু’টির কাজ নিয়ে আমরা কথা বলছি। বর্ষায় নাগরিকদের ভোগান্তি ঠেকানোর কথা মাথায় রেখেই গোটা কাজটি এগোনো হচ্ছে।” |