‘পালাবদলের’ ইঙ্গিত ছিলই। সোমবার সেটাই সত্যি হল। বামফ্রন্টের হাত থেকে দুবরাজপুরের যশপুর পঞ্চায়েতের ক্ষমতা কার্যত তৃণমূলের হাতে চলে গেল। প্রধান হলেন ফব-র টিকিটে জেতা সদস্য তথা উপপ্রধান মনসা ধীবর।
যদিও মনসা দেবী ও তৃণমূলের দাবি, মাস তিনেক আগেই দল ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ আসনের এই পঞ্চায়েতে ৮টি সিপিএম ও ১টি ফব, ১টি করে আসন পায় কংগ্রেস ও পিডিসিআই। ২টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। দু’বছর আগে সিপিএমের ১ সদস্য ইস্তফা দেন।
প্রসঙ্গত, সিপিএম পঞ্চায়েত প্রধান নাথুরাম ডোম শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত ২৪ এপ্রিল পদ খেকে সরে দাঁড়ানোয় সোমবার নতুন করে প্রধান নির্বাচন হয়। তবে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার পর পরই আরও দুই সিপিএম সদস্যও ইস্তফা দেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অরুণ মিত্রের অভিযোগ ছিল, “তৃণমূলের সন্ত্রাসে কাজ করতে বাধা পাচ্ছেন। তাই প্রধান ও অন্য সদস্যদের সরতে হয়েছে।” তিনি বলেন, “সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ দিন প্রধান নির্বাচনে দলীয় সদস্যদের উপস্থিত থাকার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নির্দেশ অমান্য করে বামফ্রন্টের উপপ্রধান ও দলের দুই সদস্য উপস্থিত ছিলেন।” পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, এ দিন নিত বাম সদস্য, এক কংগ্রেস, এক পিডিসিআই, দুই তৃণমূল সদস্যের ভোটে প্রধান নির্বাচন হয়। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রের পাল্টা দাবি, “সন্ত্রাসের অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রধানের বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। ওই দুর্নীতির ভাগিদার হতে চান না বলে বামফ্রন্টের তিন সদস্য আমাদের দলে নাম লিখিয়েছেন।” তবে এ দিনের নির্বাচনকে ঘিরে কোনও রকম ঝামেলা না হয়, সে জন্য এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। |