আঠাশে পা দিলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ধনী। মার্ক জুকারবার্গ। তবে আঠাশেই এক হাজার সাতশো কোটি ডলারের মালিক, নাকি ফেসবুকের হোতা কোন পরিচয়ে তিনি বেশি জনপ্রিয়, তা-ও কিন্তু কোটি ডলারেরই প্রশ্ন।
সালটা ২০০৪। কলেজের তিন বন্ধু ডাস্টিন মস্কোভিৎজ, এডওয়ার্ড স্যাভেরিন ও ক্রিস হিউকে নিয়ে মার্ক তৈরি করে ফেলেন ফেসবুক। প্রথমে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ফেসবুক। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বস্টনের অন্য কলেজগুলোতে। একটা সময় জনপ্রিয়তা এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, ১৩ পেরিয়েই এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নাম লেখাতে শুরু করে ফেসবুক-জ্বরে আক্রান্ত অসংখ্য ছেলেমেয়ে। এই মুহূর্তে ফেসবুকের সদস্য সংখ্যাও কিন্তু মার্কের ডলারের সংখ্যার সঙ্গে বেশ মানানসই। প্রায় হাজার কোটি।
পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ার সময়েও বড় ভূমিকা নিয়েছিল ফেসবুক। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রকাশ্যেই এক সভায় বলেন, ফেসবুক আমেরিকার গর্ব। এই ঘটনার এক মাসের মধ্যেই হোয়াইট হাউসে নিমন্ত্রণ পান মার্ক। সে দিন নৈশভোজে স্টিভ জোবসের পাশে জায়গা করে নিয়েছিলেন মার্ক। সম্ভবত একই সঙ্গে কম্পিউটার-ইন্টারনেটের দুনিয়াতেও মার্ক সে দিন জায়গা করে নিয়েছিলেন অ্যাপল-স্রষ্টার ঠিক পাশে। |