তীর্থস্থানে পৌঁছনো আর হল না ওঁদের। মুক্তিনাথ দর্শনের আগেই ২১ জনকে নিয়ে পাহাড়ের মাথায় ভেঙে পড়ল অগ্নি এয়ার-এর ডর্নিয়ের বিমান। যার জেরে প্রাণ হারালেন ১৩ ভারতীয় তীর্থযাত্রী-সহ ১৫ জন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বেঁচে গিয়েছেন বাকি ৬ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ ভারতের এক বাসিন্দা এবং তাঁর দুই ছেলেমেয়ে।
|
আজ সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ মুক্তিনাথের কাছে জমসম বিমানবন্দর ছোঁয়ার আগে টুকরো টুকরো হয়ে যায় নাইন এন এআইজি বিমানটি। তবে ভেঙে পড়লেও বিমানে আগুন ধরেনি। সে কারণে ওই ছ’জন বেঁচে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বেঁচে গিয়েছেন বছর চল্লিশের তিরুমালা কিদম্বি শ্রীকান্ত, তাঁর ন’বছরের মেয়ে শ্রীবদনী ও ছ’বছরের ছেলে শ্রীপদ। এঁরা সবাই বিপন্মুক্ত। বাকি দু’জন ডেনমার্কের নাগরিক। অক্ষত আছেন নেপালি বিমানসেবিকা রোশানি হ্যাজিও।
গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর মাউন্ট এভারেস্ট দেখে ফেরার পথে কাঠমান্ডুর কাছে খারাপ আবহাওয়ায় একই ভাবে একটি ছোট বিমান ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জনের। তাঁদের মধ্যে ১০ জন ভারতীয় ছিলেন।
কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে জমসম বিমানবন্দর। এখান থেকেই মুক্তিনাথের পথে রওনা হন পর্যটকরা। পোখরা থেকে পর্যটকদের নিয়ে আজ সকালে জমসমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। কিন্তু নামার আগেই ন’হাজার ফুট উচ্চতায় ভেঙে পড়ে সেটি। |
|
|
পোখরার এক হাসপাতালে দুর্ঘটনায় রক্ষা পাওয়া শ্রীপদ ও শ্রীবদনী। ছবি: এ এফ পি, রয়টার্স। |
|
কেন ভেঙে পড়ল নাইনএনএআইজি বিমানটি?
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্ধারকারী কমিটির দাবি, ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় পোখরা ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন পাইলট। সে জন্য তিনি বাঁ দিকে ঘুরেও ছিলেন। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। জমসম বিমানবন্দরের কাছে একটি হোটেলের পিছনে ভেঙে পড়ে বিমানটি। অগ্নি এয়ার-এর তরফে প্রমোদ পাণ্ডে বলছেন, “জমসম বিমানবন্দরে নামা খুব একটা কঠিন নয়। অভিজ্ঞ পাইলটরাই আমাদের বিমান চালান। এ দিনও যিনি বিমান চালাচ্ছিলেন সেই প্রভু শারন পাঠক যথেষ্ট অভিজ্ঞ ছিলেন।” |