নয়া সাঁইবাড়ি কমিশন কেন, প্রশ্ন আদালতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বর্ধমানে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে প্রাক্তন বিচারপতি অরুণাভ বসুর নেতৃত্বে নতুন কমিশন গড়েছে রাজ্য সরকার। সেই কমিশন গঠনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা একটি মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সোমবার। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী সমরাদিত্য পাল বলেন, সাঁইবাড়ি নিয়ে আগেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গড়া হয়েছিল। সেই কমিশন রিপোর্টও দিয়েছে। তাই নতুন কমিশনের প্রয়োজন কী? সরকার বদল হলেই যদি এক বিষয়ে নতুন কমিশন গড়া হয়, তা হলে তো একই বিষয়ে বারবার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন চলতে থাকবে। শুনানির সময় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র অন্য গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ব্যস্ত থাকায় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে হাজির থাকতে পারেননি। তাই বিচারপতি বলেন, অ্যাডভোকেট জেনারেল অনুপস্থিত থাকায় আবেদনকারীর তরফে নতুন ভাবে সওয়াল করতে হবে। তাতে সময় নষ্ট হবে আদালতের। বুধবার অনিন্দ্যবাবু হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তাই বুধবারেই ফের শুনানি হবে।
|
আহতকে নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু |
দুর্ঘটনায় জখম দুই ব্যক্তি পড়েছিলেন রাস্তার উপরে। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ফের দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল উদ্ধারকারী ব্যক্তির। নিমাই বৈরাগ্য (৩০) নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি স্থানীয় মণ্ডলগ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালম্বা গ্রাম থেকে নিমন্ত্রণ সেরে ফিরছিলেন নিমাইবাবু। বর্ধমান-নবদ্বীপ রুটে দাসপুরের কাছে এসে তিনি দেখেন, দুর্ঘটনায় আহত দুই ব্যক্তি মোটরবাইক সমেত উল্টে পড়ে রয়েছেন রাস্তায়। আহত দুই ব্যক্তিকে ধরে ধরে কোনও ভাবে তাঁদেরই মোটরবাইকে তুলে বসান নিমাইবাবু। সেই অবস্থায় মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন হাসপাতালের দিকে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক নিয়ে একটি গাছে সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা তিন জনকেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে নিমাইবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
|
গলায় বিছানার চাদরের ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার করা হল। আশিস বাগ (২৬) নামে ওই যুবকের বাড়ি খোসবাগানের রামকৃষ্ণ রোডে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, পেশায় গাড়ির চালক আশিস বর্ধমানে এক চিকিৎসকের গাড়ি চালাতেন। রবিবার দুপুরে সেই চিকিৎসকের বাড়ির গ্যারাজ থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ মেলে। ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।
|
খামারে আগুন লেগে ধান নষ্ট |
খামারে আগুন লেগে নষ্ট হল তিনটি ধানের গোলা ও দু’টি খড়ের পালুই। রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মন্তেশ্বর থানার দেনুর গ্রামের বাসিন্দা বিভাস মণ্ডলের বাড়িতে। রাত ২টো নাগাদ ভাতার থেকে একটি ইঞ্জিন এসে গ্রামবাসীদের সাহায্যে আগুন আয়ত্তে আনে। বিভাসবাবুর পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, খামারবাড়িতে বোরো মরসুমের ধান তুলে রেখেছিলেন তাঁরা। পরিবারের দাবি, আগুনে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। |