অধীর চৌধুরীর ‘শক্ত ঘাঁটি’ মুর্শিদাবাদে গিয়ে জেলা কংগ্রেসকে সরাসরি ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে তোপ দাগলেন তৃণমূলের যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। শুধু ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেই থামেননি শুভেন্দু। মুর্শিদাবাদের তিন কংগ্রেস সাংসদই ‘উন্নয়নের কাজ করেননি’ বলেও মন্তব্য তাঁর। প্রসঙ্গত, জেলায় অধীর ছাড়া কংগ্রেসের অন্য দুই সাংসদ হলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, অধীর চৌধুরী ও মান্নান হোসেন।
মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের বাসুদেবপুরে রবিবার দলীয় সংগঠনের প্রথম জেলা সম্মেলনে শুভেন্দু বলেন, “আমি কারও নাম করতে চাই না। কিন্তু এটা বলতে পারি, মুর্শিদাবাদ জেলায় তিন জন সাংসদ রয়েছেন। তাঁরা জেলার উন্নয়নে কোনও কাজই করেননি।” তাঁর অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে রুখতে ‘চক্রান্ত’ করেছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃবর্গ। |
শুভেন্দুর ‘কটাক্ষের’ ব্যাপারে অধীর পাল্টা বলেন, “শুভেন্দু যা বলেছেন, তা শুনে ঘোড়াও হাসবে। আসলে এ জেলায় তৃণমূলের কোনও নেতা-কর্মী পুলিশের গুঁতো বা সিপিএমের চড় খায়নি। ওরা তো এখানে কংগ্রেসকে দুর্বল করতে সিপিএমের মদতে চলে। রাজ্যের সঙ্গে জেলা তৃণমূলের এটাই ফারাক।” ক্ষুব্ধ মান্নান হোসেন বলেন, “শুভেন্দু এ জেলার মাটিই চেনেন না। ওঁর এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কিছু বলা মানে নিজেকে ছোট করা।” ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র প্রশ্নে দুই সাংসদই জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনে মুশির্দাবাদে তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে ‘আপত্তি’ ছিল না তাঁদের, তবে ‘অবৈজ্ঞানিক’ জোট মানতে পারেননি তাঁরা।
শুভেন্দুর সুরেই এ দিন মঞ্চ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলনেত্রী ও রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র, সুব্রত সাহা, এবং যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অর্ঘ্য রায় প্রধান। অর্ঘ্য বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের কেউ কেউ দাদাগিরি চালাচ্ছে। এ সব আমরা সহ্য করব না।” সুব্রতবাবুর মন্তব্য, “তৃণমূল নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে এ জেলায় কংগ্রেসকেই দূরবিন দিয়ে খুঁজতে হবে।” আর সাবিত্রীদেবীর ঘোষণা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদদু’জেলাতেই তাঁরা ‘একা’ লড়াই করার ক্ষমতা রাখেন। |