এক কথায় মহানাটকীয় রবিবার। বিকেলে যদি ওয়াংখেড়েতে শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে দুর্ধর্ষ জয় এনে দিয়ে থাকেন ডোয়েন স্মিথ, তা হলে রাতের চিত্রনাট্য লেখা থাকল এবি ডে’ভিলিয়ার্সের হাত ধরে। ডেকান চার্জার্সের বিরুদ্ধে জিততে গেলে শেষ ২৬ বলে ৬২ তুলতে হতো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। কিন্তু ডে’ভিলিয়ার্স (১৭ বলে ৪৭ ন.আ.) ঝড় আরসিবিকে স্বপ্নের জয় এনে দিল সাত বল আগেই।
ওয়াংখেড়েতে এ দিন চেন্নাইয়ের কুড়ি ওভারে তোলা ১৭৩ তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন সচিন তেন্ডুলকর। আইপিএল ফাইভে এ দিন তাঁর সর্বোচ্চ স্কোরটা করে গেলেন সচিন (৪৪ বলে ৭৪)। নিখুঁত কভার ড্রাইভ, স্পিনারকে স্টেপ আউট করে বাউন্ডারিতে ফেলে দেওয়া, কঠিন আস্কিং রেটের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়াকোনও কিছুই এ দিন বাদ রাখেননি সচিন। ১১টা বাউন্ডারি এবং একটি বিশাল ছক্কাই তার প্রমাণ। সঙ্গে আবার পেয়ে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মাকে (৪৬ বলে ৬০)। |
সচিনের ব্যাটে ফিরল চেনা ছন্দ। ছবি: এএফপি |
কিন্তু শেষ দিকে পরপর চার উইকেট হারিয়েছিল মুম্বই। শেষ তিন বলে দরকার ছিল ১৪। আইপিএলে প্রথম নামা ডোয়েন স্মিথ ৯ বলে ২৪ করে দলকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন। শেষ তিন বলে একটা ছক্কা আর দুটো বাউন্ডারি মেরে ম্যাচের সেরা স্মিথই।
ডে’ভিলিয়ার্স অবশ্য শেষ বল পর্যন্ত টেনশন বয়ে নিয়ে যাওয়ার গল্প রাখেননি। আরসিবির অবস্থাও খুব ভাল ছিল না ডেকানের ১৮১-২ তাড়া করতে নেমে। দিলশান (৫৪ বলে ৭১) আউট হওয়ার পর আরও বেহাল হয়ে যায় আরসিবি। ক্রিস গেইলকে (২২ বলে ২৬) এ দিন চেনা গেইল মনে হয়নি। কিন্তু ডে’ভিলিয়ার্স ছিলেন। যিনি ডেল স্টেইনের এক ওভার থেকে তুললেন ২৩।
যা দাঁড়াচ্ছে, ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএল টেবিলে মুম্বই তিনে। ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আরসিবি পাঁচ নম্বরে।
|