কেপমারির অভিযোগে রবিবার এসএসকেএম চত্বর থেকে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। ধৃত সন্দীপ মল্লিকের বাড়ি বসিরহাটে।
পুলিশ জানায়, দিন কয়েক আগে সন্দীপ হাসপাতাল চত্বরে এক রোগীর আত্মীয়কে একটি কাগজে মোড়া বান্ডিল দিয়ে জানান, তাতে দশ হাজার টাকা আছে। হাসপাতালেই সেটি পাওয়া গিয়েছে। সেটা তাঁরা ভাগ করে নেবেন। এর মধ্যে অপর এক ব্যক্তিও চলে এলে তাঁর কাছে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই রোগীর আত্মীয়ের থেকে এক হাজার টাকা নেন সন্দীপ। পরে তাঁর মোবাইল নিয়ে ফোন করার অছিলায় উধাও হয়ে যান। ওই ব্যক্তি বান্ডিল খুলে দেখেন, উপরে নকল নোট আর ভিতরে কাগজ। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দুপুরে হাসপাতালে সন্দীপকে ফের ঘোরাঘুরি করতে দেখে অভিযোগকারী পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে সন্দীপকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
|
ছাত্র নিখোঁজে সহপাঠীর নামে নালিশ |
সার্ভে পার্কের স্কুলছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থানায় দায়ের করেছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সন্দীপন চক্রবর্তীর অন্তর্ধানের ঘটনার সঙ্গে ওই ছাত্রের যোগ রয়েছে। পুলিশি সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে স্থানীয় একটি কোচিংয়ে এবং সাইবার কাফেতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সন্দীপন। তার পর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ ছাত্রের কাকা দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ইদানীং ওই সহপাঠীর সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল সন্দীপনের। ঘটনার পর থেকে অন্য বন্ধুদের মাধ্যমে বেশ কয়েক বার সন্দীপনের খোঁজখবর নিয়েছে ওই সহপাঠী।” পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে সোনারপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রের নামে সার্ভে পার্ক থানায় এফআইআর করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, দিন ছয়েক আগে সোনারপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় সন্দীপনের। তিনি বেশ কয়েক বার সোনারপুরে ওই ‘বন্ধু’র বাড়িতে গিয়েছেন। শুক্রবারেও সন্দীপন ওই এলাকায় গিয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
|
এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম প্রদীপ দাস। বাড়ি পাটুলি এলাকায়। রবিবার বৈষ্ণবঘাটা এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, বছর আটেকের ওই শিশুটি স্থানীয় এক বস্তিতে থাকে। শিশুটির আত্মীয়েরা পুলিশকে জানান, শনিবার সকালে ওই ব্যক্তি তাকে নিজের দোকানে নিয়ে যায়। বাড়ি ফিরেই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে অভিভাবকদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি জানতে পারেন। শনিবারই পুলিশে অভিযোগ করেন শিশুটির পরিজনেরা। এক পুলিশ অফিসার জানান, শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ জানায়, রবিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতের ডাক্তারি পরীক্ষার আবেদনও মঞ্জুর করেছে আদালত। |