বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার সময় ট্রাকের সঙ্গে ছোট গাড়ির সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে গাড়ির তিন আরোহীর। আহত একজন। বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামপুরের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটিছে। মৃতদের নাম অমরন্দ কুমার (৪০), অনুপম কুমার (২৮) এবং রাজেশ গুপ্ত (৪০)। অমরন্দবাবুর বাড়ি পূর্ণিয়ার কানারিয়া, অনুপম বাবুর বাড়ি খাগারিয়া এবং রাজেশ বাবুর বাড়ি কাটিহারে। রাজেশবাবুর বাবা সুনীল গুপ্ত কাটিহারের জনতা দলের (ইউনাইটেড) জেলা সভাপতি। মৃতরা তিনজনেই বিহারে এক নামকরা বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। গত বুধবার শিলিগুড়িতে কোম্পানির মিটিং শেষ করে রাতে একটি বিয়ে বাড়িতে যোগ দিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। গুরুতর জখম গাড়ির চালক রাম সুজন দাসকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। গাড়িটি ভাড়া গাড়ি ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। গাড়িতে চার জনই ছিলেন। এ দিন সকালে শিলিগুড়ি থেকে ফেরার সময় শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় ৩১ নং জাতীয় সড়কে ফোর লেন থেকে সিঙ্গল লেনে ঢোকার সময় গাড়ির চালক সজোরে ব্রেক করলে গাড়িটি ঘুরে যায়। সেই সময় শিলিগুড়িগামী একটি ট্রাক গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় চারজনকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অমরন্দ এবং অনপুম মারা যান। ইসলামপুর থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় রাজেশবাবু। মৃত রাজেশবাবুর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, রাজেশ দুই বন্ধুর সঙ্গে কোম্পানির বৈঠক সেরে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। অমরন্দ কুমারের খুড়তুতো ভাই প্রদীপ কুমার বলেন, “বাড়িতে এ দিন এক আত্মীয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। বন্ধুর গাড়িতে বাড়ি ফিরছিল।” ঘটনার পর বাসিন্দারা কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। গাড়ি গতি নিয়ন্ত্রণের দাবি তোলেন বাসিন্দারা। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। |