বিল মেটানো নিয়ে বিবাদের জেরে রোগীর মেয়ে সহ তার আত্মীয়দের মারধরের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমের কর্মীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে কোচবিহার শহরের মদনমোহন বাড়ি লাগোয়া একটি নার্সিংহোমে। পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় জয়শ্রী দেবনাথ নামে এক মহিলা জখম হন। তিনি চিকিৎসাধীন অমরেশ দেবনাথের মেয়ে। তাঁকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ ও নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্সিররহাটের বাসিন্দা অমরেশবাবু বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা নিয়ে ৩০ এপ্রিল ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। তাঁকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এ দিন সকালে অমরেশবাবুকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যরা নার্সিংহোমে যান। অমরেশবাবুর মেয়ের অভিযোগ, সকাল ৯টা থেকে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করার পরেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বিলের পরিমাণ জানাতে গড়িমসি করছিলেন। তিনি বলেন, “বাবার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। তা দেখেই প্রতিবাদ করা হয়। নার্সিংহোমের কর্মী ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা আমাদের মারধর করেন। আমাকেও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। সব জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে।” নার্সিংহোমের ম্যানেজার পলাশ গুছাইত বলেন, “প্রায় ১৪ হাজার টাকা বিল হয়েছিল। রোগীর পরিবারের লোকেরা বিল মেটাতে চাইছিলেন না। নিজেরাই রোগীকে নার্সিংহোম থেকে বের করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলেন। কয়েকজন আয়া প্রতিবাদ করায় তাঁদের ওপর ওই বাড়ির লোকরা হামলা চালায়।” অমরেশবাবুকে নিয়ে যাওয়া হলেও বিল মেটানো হয়নি বলে তাঁর দাবি। |