নাবালিকা দুই বোনের বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে পুলিশকর্মীদের মারধরের অভিযোগে ধৃত ৩ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত। বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশ দেন সিজেএম পীযূষ কান্তি রায়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন নাবালিকা দুই বোনের বাবা জগদীশ মন্ডল ও তাঁদের দুই আত্মীয়া প্রমীলা মন্ডল ও গঙ্গাদেবী মন্ডল। পাশাপাশি দুই বোন সবিতা ও লক্ষীকে হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হরিশ্চন্দ্রপুরের চকসাতন মহারাজপুর কলোনিতে বুধবার দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে কনেপক্ষ ও গ্রামবাসীদের একাংশের হাতে আক্রান্ত হন ৩ পুলিশ অফিসার। পুলিশের ভ্যান ভাঙচুর করে মারধর করা হয় গাড়ির চালককেও। পরে থানা থেকে আরও পুলিশ গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ দুই নাবালিকার বাবা জগদীশ মন্ডল এবং রাতে প্রমীলা ও গঙ্গা দেবী মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। পাশাপাশি জগদীশবাবুর বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইনেও মামলা করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার পর অবশ্য পুলিশের বিরুদ্ধেই পাল্টা মারধরের অভিযোগ তোলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের ফব’র বিধায়ক তজমূল হোসেন। বিধায়ক অভিযোগ করেন, পুলিশ কনেপক্ষের কয়েকজনকে মারধর করেন। রাতে ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। বিধায়কের দাবি, “গ্রামের প্রতিটি বাসিন্দাই গরিব। পুলিশের গায়ে তাঁদের হাত দেওয়ার মতো সাহস নেই।” হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি বিপুল বন্দোপাধ্যায় দাবি করেন, পুলিশ কাউকে মারধর করেনি। পুলিশ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। |