চোপড়ার একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের পরে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা খুনের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীই পুলিশকে তা জানিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ২ জনকে ধরলেও ৬ জন অধরা। পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত জাইদুলকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তার বাবা চোপড়ার মাঝিয়ালি অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি নাসিরুদ্দিন হক এবং তাঁর লোকজন ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না জানিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ছাত্রীর পরিবারের লোক। অভিযোগ, ঘটনার পর ছাত্রীর দাদা এ অপর এক আত্মীয় নাসিরুদ্দিনের বাড়িতে গেলে ওই কংগ্রেস নেতা ও তাঁর ছেলে রিভলভার বার করে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকী ছাত্রীকে ধর্ষণের সময় জাইদুল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিল, ছাত্রীকে গুলি করতে চেয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পরিবারের লোক পুলিশকে জানিয়েছে, ঘটনার সময় ছাত্রীর গলার সোনার হার ছিনিয়ে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ-সহ পুরো বিষয়টি নিয়েই যথাযথ তদন্ত করা হচ্ছে।” অভিযুক্তকে দলেরই একটা অংশ বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য মনে করেন আইন আইনের পথেই চলুক। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ দিন চোপড়া বিডিও অফিস থেকে কর্মী, আধিকারিকদের একাংশ ছাত্রীকে দেখতে আসেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁরা ছাত্রীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। |