সাত সকালে প্রকাশ্য রাস্তায় এক যুবককে খুনের ঘটনায় কালিয়াচকের শাহাবাজপুরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শাহাবাজপুর চৌরাস্তার মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দিতে এগিয়ে আসলে দুষ্কৃতীরা বাসিন্দাদের লক্ষ্য করেও গুলি চালাতে চালাতে পালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সুভাষ মণ্ডল (৩৮)। সুভাষের বিরুদ্ধেও পুলিশের খাতায় খুনের মামলা ছাড়াও অসামাজিক কাজের অভিযোগের মামলা রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “নিহত সমাজবিরোধী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুইটি খুনের মামলা রয়েছে। দুটি দুষ্কৃতী দলের গোলমালেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।” বাসিন্দাদের অভিযোগ গত সমাজবিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসে করত। যদিও তৃণমূল জেলা সভানেত্রী রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “নিহত যুবক সমাজবিরোধী। তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক নেই।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে ১০ মে কালিয়াচকের শাহাবাজবাজপুরে কাছে একটি বেসরকারি বাস থামিয়ে হরেন মন্ডল নামের এক বাসিন্দাকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। জখম হয়েছিল ৩ জন। এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল সুভাষ মন্ডল। পুলিশ নিহত সুভাষ এবং তার তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করে। মাসখানেক আগে সুভাষ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গ্রামে ফিরে আসে। গ্রামে ফিরে আসার পর থেকেই সুভাষ নানা অসামাজিক কাজকর্ম শুরু করে। জমির দালালি থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ ওঠে সুভাষের বিরুদ্ধে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় তিন কংগ্রেস সদস্যকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছিল নিহতের বিরুদ্ধে। বাসিন্দারা জানান, এদিন সকালে বাড়ি থেকে বার হয়ে চা খেতে শাহাবাজপুর চৌরাস্তায় যায় সুভাষ। চা খেয়ে বাসস্ট্যান্ড দাঁড়ানোর কিছুক্ষণ পর ৫-৬ জন দুস্কৃতী তাঁকে ঘিরে ফেলে গুলি চালাতে থাকে। দুটি গুলি সুভাষ মন্ডলের বাঁ চেখের নীচ দিয়ে ঢুকে মাথার পিছনের দিক থেকে বার হয়ে যায়। সে রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। এর পরে দুষ্কৃতীরা তার পেটে গুলি করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এলাকায় লোকজন গুলির আওয়াজে ছুটে এসে দুষ্কৃতীরা এলোপাথারি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ আসার আগে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। |