জট সড়কেও দুর্যোগে বিঘ্নিত বিমান, গাছ পড়ে বেলাইন ট্রেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দুঃসহ গরমে বর্ষণের অপেক্ষায় ছিলেন নগরবাসী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে ঝড়বৃষ্টি স্বস্তি আনল ঠিকই। কিন্তু ঘটাল বিপত্তিও। ব্যাহত হল বিমান ও ট্রেন চলাচল। বিপাকে পড়লেন ঘরমুখী মানুষ। ঝড়বৃষ্টিতে ট্রেন থমকে যাওয়ায় চাপ পড়ে সড়কে। গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যানজটে নাকাল হতে হল জনতাকেই। কলকাতার আশপাশের জেলা এবং উত্তরবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, দুর্যোগে বেশ কয়েকটি বিমানের নামতে দেরি হয়। খারাপ আবহাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কলকাতামুখী একটি বিমান মাঝপথ থেকেই ঢাকায় ফিরে যায়। |
|
আকাশের বুক চিরে বিদ্যুতের ঝলকানি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। ছবি: বিল্বনাথ চট্টোপাধ্যায় |
রেল সূত্রের খবর, লাইনে পড়ে যাওয়া গাছে ধাক্কা মেরে বেলাইন হয়ে যায় শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারগামী একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চারটি কামরা। মাদারিহাটের মুজনাই স্টেশনের কাছে চেকামারির ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫০ জন আহত হন। নিউ বঙ্গাইগাঁও এবং নিউ জলপাইগুড়ি থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন পাঠানো হয়। দুর্যোগে বাতিল হয় শিয়ালদহ মেন শাখার কিছু ট্রেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই শাখার ইছাপুর ও পলতা স্টেশনের মাঝখানে একটি গাছ উপড়ে ওভারহেড তারের উপরে এসে পড়ে। ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ-সংযোগ। এর জেরে ওই শাখায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন বন্ধ থাকে। স্টেশনে স্টেশনে আটকে পড়েন অসংখ্য যাত্রী। কিছু ক্ষণ পরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সব ট্রেনেরই দেরি হতে থাকে।
অফিসফেরত বহু যাত্রী সড়কপথ ধরেন। কিন্তু গাড়ির জটে থমকে যায় বি টি রোডও। শ্যামবাজার থেকে ডানলপ পর্যন্ত রাস্তায় নড়াচড়ার উপায় ছিল না। একে তো দুর্যোগ, তার উপরে ডানলপে উড়ালপুলের কাজ চলছে। রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ায় দুর্ভোগ বাড়ে। বাস থেকে নেমে অনেকেই হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (ট্রাফিক) জানান, অনিয়মিত ট্রেন চলাচলের জন্য সড়কপথে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সড়কপথে এই বিপত্তি। কালবৈশাখীতে হুগলি-সহ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হুগলি ও বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতি হয়েছে ফসল ও কাঁচাবাড়ির। |
|