|
|
|
|
কাজের হিসেব রাখতে ডায়েরি-দাওয়াই অরূপের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কর্মসংস্কৃতি চাঙ্গা করতে মন্ত্রীর ‘অস্ত্র’ এ বার ডায়েরি। দফতরের শীর্ষ স্তরের আমলারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে ডায়েরির পাতায় চোখ রাখলেই মালুম হবে, কাজ কত দূর এগিয়েছে। আবার মন্ত্রী নিজে দফতরে না-থাকলেও ডায়েরির পাতাতেই পদে পদে নথিভুক্ত হবে কাজের অগ্রগতি।
চলতি আর্থিক বছরের বাকি ১১ মাসের কর্মসূচি ও সময়সীমা ঠিক করে তার খতিয়ান নিতে আমলাদের হাতে এক বিশেষ ডায়েরি তুলে দিচ্ছেন রাজ্যের যুবকল্যাণ ও আবাসন দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এবং বলছেন, “এই ডায়েরির মাধ্যমেই বছর শেষে আমার বিভাগগুলি কেমন কাজ করল তার মার্কশিট তৈরি করা যাবে।”
ডায়েরির মাধ্যমে কাজ করা এবং করানোর এই পদ্ধতিকে মন্ত্রী বলছেন, ‘কর্পোরেট-সুলভ কৌশল’। অরূপের দাবি, “প্রথম জীবনে কর্পোরেট সংস্থায় কাজ করার সুবাদেই মন্ত্রিগিরি করতে বসেও এই ডায়েরির ব্যাপারটা আমার মাথায় এসেছে।” বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মহাকরণে তাঁর বিভাগীয় আধিকারিকদের হাতে অরূপ এই ডায়েরি তুলে দিচ্ছেন। যুব কল্যাণ ও আবাসন দু’টি দফতরের শীর্ষস্তরের ১৫ জন করে আমলাকে এই ডায়েরি দেওয়া হবে।
চলতি আর্থিক বছরের শুরুতেই তাঁর দফতরগুলির আমলাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন অরূপ। ওই বৈঠকেই সারা বছরের রূপরেখা ঠিক হয়। ১২ মাসে কখন কোন কাজ শুরু হবে এবং কখন সম্পূর্ণ করা হবে, সব ছকে নিয়ে কাজের নির্ঘণ্ট বা একটি ক্যালেন্ডারও তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, কাজটা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হচ্ছে কি না, সেটাই বোঝা যাবে ডায়েরি দেখে।
কী ভাবে?
মন্ত্রীর দেওয়া ডায়েরিতে প্রকল্পের নাম, কোন আধিকারিক দায়িত্বে রয়েছেন, কবে শুরু, সময়সীমা কী সব লেখার আলাদা-আলাদা জায়গা। নির্দিষ্ট মাস বা তারিখের নীচে প্রকল্পগুলির কোনটি কোথায় দাঁড়িয়ে তা-ও লিখে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। যুব কল্যাণ ও আবাসন দফতরের আমলাদের জন্য নির্দিষ্ট ডায়েরিটির পিছনে বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের রিপোর্ট লেখার জায়গাও থাকছে। অরূপ বলেন, “আধিকারিকদের মধ্যে যাঁরা সরাসরি আমার কাছে রিপোর্ট করেন, তাঁদের হাতেই ডায়েরি তুলে দিচ্ছি। এ বার আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেই ডায়েরি হাতে আসতে হবে।”
আপাতত আইপিএল-এর নেশায় মশগুল কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর গোঁড়া সমর্থক অরূপ তাঁর এই ডায়েরির কার্যকারিতার ব্যাখাও দিচ্ছেন ক্রিকেটীয় পরিভাষায়। তাঁর কথায়, “ওই ডায়েরি দেখেই বোঝা যাবে, এক-একটি প্রকল্প শেষ করতে কত ওভারে কত রান তুলতে হবে। মানে স্লগ ওভারে কখন চার-ছয় মারতে হবে, কখন রয়ে-সয়ে ব্যাট করলেও চলবে, সব-কিছুই বলে দেবে ডায়েরি।” |
|
|
|
|
|