|
|
|
|
সংশয় প্রাথমিক শিক্ষণে |
ভর্তি ও পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জুলাই মাস থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু। কিন্তু এখনও ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে। পাঠরতদের পরীক্ষা কবে হবে তা নিয়েও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। অথচ, হাতে আর মাত্র দু’মাস। ভর্তি ও পরীক্ষার দিন একই সঙ্গে পড়লে নাজেহাল হতে হবে শিক্ষণকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকেও। রাজ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, “এ বিষয়ে সরকারের নজর রয়েছে। যথা সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।”
রাজ্যে এনসিটিই অনুমোদিত ৮২টি প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে দু’বছরের ডিএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) কোর্স পড়ানো হয়। প্রতিটি কলেজেই ৫০টি করে আসন। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী, জুলাই মাসের গোড়া থেকেই নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর কথা। তার আগে ৬০ দিনের মধ্যে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ করার কথা। এপ্রিল মাস শেষ হয়ে গেল। হাতে মাত্র আর ৬০ দিনই সময় পাবে কলেজগুলি। তার মধ্যে আবার রবিবার রয়েছে, সরকারি ছুটিও রয়েছে। কলেজগুলির দাবি, এই কারণেই অন্যান্য বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকেই ভতি-প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেত রাজ্যে। কারণ, ভর্তির জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হয়। ৫০টি আসনের জন্য এক-একটি কলেজে গড়ে ৫০০ জন আবেদন করেন। কিছু ক্ষেত্রে আরও বেশি আবেদন জমা পড়ে। মেধা-তালিকা প্রকাশের জন্য প্রতিটি আবেদনপত্র খুঁটিয়ে দেখার দরকার হয়। সংরক্ষণের দিকটিও খতিয়ে দেখতে হয়। এ-সব করতেও ন্যূনতম ১৫-২০ দিন সময় লাগেই। তারপর তৈরি হয় মেধা-তালিকা। সেই তালিকা অনুমোদন করাতে হয় কলেজের অধ্যক্ষ, কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক), জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ও সরকারি প্রতিনিধিকে নিয়ে গঠিত কমিটিকে দিয়ে। তাতেও সময় লাগে। তার পর প্রথম তালিকা প্রকাশ, দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ, ইত্যাদি। তাই শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে হাতে কমপক্ষে ২ মাস সময় থাকা জরুরি। অথচ এ বার সেই সময় পাওয়া নিয়েই সংশয়।
পাঠরতদের পরীক্ষা কবে হবে, তা নিয়েও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি এখনও। এক-একটি কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র হয় অন্য কলেজে। ১১টি বিষয়ে পরীক্ষা হয়। যার মধ্যে আবার ৬টি বিষয়ে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষা নিতে কম করে ১৭ দিন প্রয়োজন। অথচ এখনও পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিই জারি হয়নি। রাজ্য থেকে কলেজগুলিকে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ চান, পরীক্ষা ও ভর্তির জন্য দ্রুত বিজ্ঞপ্তি জারি হোক। না হলে জটিলতা বাড়বে। প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অবশ্য জানিয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|