|
|
|
|
নন্দীগ্রাম নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন আইজি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নন্দীগ্রাম |
নন্দীগ্রামের গুলিচালনা ‘অসাংবিধানিক’ বলে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে পুলিশ যখন গুলি চালায়, সেই সময় পশ্চিমাঞ্চলের আইজি ছিলেন অরুণ গুপ্ত। নন্দীগ্রামের সেই ঘটনা নিয়ে জনস্বার্থের মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এ বার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন তৎকালীন আইজি। অরুণবাবু এখন আইজি (ট্রাফিক)। তাঁর আবেদন, নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিচালনা অসাংবিধানিক ছিল বলে তাঁরা মনে করেন না এবং সেটাই এখন সর্বোচ্চ আদালতকে জানানোর তাগিদ অনুভব করছেন।
২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিচালনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়। উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। সেই গুলিচালনা নিয়ে জনস্বার্থের মামলা হয় হাইকোর্টে। তার রায়েই উচ্চ আদালত জানায়, ওই গুলিচালনা অসাংবিধানিক। তখনকার বামফ্রন্ট সরকার হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল মামলা দায়ের করে।
কিন্তু রাজ্যে সরকার বদলের পরে পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়। নন্দীগ্রামের তৎকালীন আন্দোলনের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর সরকার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানালেও বর্তমান সরকার তা করতে পারে না। কারণ তারা বিরোধী পক্ষে থাকার সময়েই এই গুলিচালনাকে রাজ্য সরকারের হঠকারিতা, মানুষের আন্দোলনের উপরে আক্রমণ বলেছিল। তাই তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই শীর্ষ আদালতে আগের সরকারের দায়ের করা আপিল মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী রাজ্য সরকার মামলাটি প্রত্যাহারও করে নেয়। সর্বোচ্চ আদালতের সেই মামলা তুলে নেওয়ায় নন্দীগ্রামে গুলিচালনা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতেই তৎকালীন আইজি অরুণবাবু সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন। তাঁর আবেদন, রাজ্য মামলা প্রত্যাহার করে নিলেও সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের কছে তাঁদের বক্তব্য জানানোর এবং বিচার চাওয়ার অধিকার আছে। নন্দীগ্রামে গুলিচালনা যে অসাংবিধানিক ছিল না, সুপ্রিম কোর্টের কাছে তা জানানোর প্রয়োজন অনুভব করছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|