স্কুলভবন নির্মাণে ‘দুর্নীতি’
অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ পাড়ুইয়ে
স্কুল ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাজ হয়েছেএই অভিযোগের তদন্তে এসে ‘হেনস্থার’ মুখে পড়তে হল সিউড়ি (সদর) পূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে। এর পরে বিক্ষোভকারীদের কয়েক জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও, ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে সিউড়ি ২ ব্লকের হরিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবন নির্মাণের জন্য এমএইচবিপি থেকে অনুমোদন আসে। ব্লক তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলামের অভিযোগ, “সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান শিক্ষক বেআইনি ভাবে স্কুলের ভবন তৈরি করছিলেন। কাজের কোনও ওয়ার্ক অর্ডার নেই, কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। পছন্দের লোকজনকে দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন।”
বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
তাঁর আরও অভিযোগ, “এলাকার বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা তদন্তের জন্য লিখিত ভাবে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানান। পরিদর্শককে এ দিন তদন্ত করে বাধা দেয় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ৬ জনের নামে পাড়ুই থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে এমন কী দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও ছেড়ে দেওয়া হয়।” যদিও হরিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন আল রসিদ দাবি করেন, নিয়ম মেনে কাজকর্ম করার চেষ্টা করছেন। বিদ্যালয় পরিদর্শক কাকলি জোয়ারদার বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা ভবন তৈরি নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের তদন্তের পাশাপাশি পূর্ব নির্ধারিত শিক্ষা সংক্রান্ত বৈঠকের জন্য হরিশপুরে এসেছিলাম। বৈঠকের আগে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। তাই পাশের গ্রামে বৈঠক করে ফিরে যাই। আপাতত ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ফের তদন্তের পরে কাজ শুরু হবে।”
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাজা ঘোষ বলেন, “ঝামেলার খবর পেয়েছি। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক যাতে সুষ্ঠু ভাবে কাজকর্ম করতে পারে সে জন্য পুলিশকে দেখতে বলেছি। পুরো বিষয়টি আমরাও তদন্ত করে দেখব।” এ দিকে, তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের সিউড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “এটা ওদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল। প্রধান শিক্ষককে হেনস্থা করে ওরা স্বাভাবিক কাজকর্ম বানচাল করতে চাইছে। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” ধরে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তবে পুলিশ ধরে ছেড়ে দিয়েছে, এই অভিযোগ ঠিক নয়। ওরা পালিয়ে গিয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.