বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তো ছিলই। যৌতুক হিসেবে টাকা ও গয়না নিয়েও বিয়ের আসরে হাজির না হওয়ার অভিযোগে এক যুবক এবং তাঁর বাবা ও কাকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, সরফরাজ মোল্লা নামে ওই যুবক বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের গ্রন্থাগারিক। বাড়ি গলসির কুরকুবা গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার কান্দিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা সালমা পরভিন বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জার সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেন, ২০০৯ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে সরফরাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক বার সহবাসও করেন ওই যুবক। কলকাতার একটি বেসরকারি আইন কলেজের ছাত্রী সালমার অভিযোগ, ১৭ এপ্রিল তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কান্দিয়ারায় তাঁদের বাড়িতে সে দিন বিয়ের আয়োজন হয়। তার কয়েক দিন আগে সরফরাজের বাবা ও কাকা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে যৌতুক বা ‘জেহের’ হিসেবে এক লক্ষা টাকা ও সোনার আংটি নিয়ে আসেন। কিন্তু বিয়ের জন্য নির্দিষ্ট দিনে পাত্রপক্ষ হাজির হননি। পরে যোগাযোগ করা হলে সরফরাজ জানিয়ে দেন, তিনি সালমাকে বিয়ে করতে রাজি নন।
এই অভিযোগ শুনে পুলিশ সুপার গলসি থানার ওসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠান। ওসি-কে তিনি ওই তরুণীর লিখিত অভিযোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সালমা সে দিন লিখিত অভিযোগ করেননি। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পরামর্শ করতে চান জানিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যান। এর পরে বৃহস্পতিবার সকালে গলসি থানায় গিয়ে সরফরাজ এবং তাঁর বাবা জিন্নাত আলি মোল্লা ও কাকা গোপাল মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সালমা। এ দিনই পুলিশ কুরকুবা গ্রামের বাড়ি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে।
ধৃত তিন জনকে এ দিন বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। অভিযোগকারিণীর আইনজীবী সুদীপ্তকুমার রায় জানান, সিজেএম সাবিনা ইয়াসমিন সরফরাজের বাবা ও কাকার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে সরফরাজকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। |