টুকরো খবর
ডাক্তারকে না পেয়ে ভাঙচুর রামপুরহাট হাসপাতালে
চিকিৎসক না থাকার অভিযোগে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালানো হল। পরে এক চিকিৎসক এসে জরুরি বিভাগে রোগী দেখা শুরু করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শুক্রবার দুপুরে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না থাকার অভিযোগ মানতে চাননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে রামপুরহাট থানার চন্দনকুণ্ঠা গ্রামের কীটনাশক খাওয়া এক কিশোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁরা গিয়ে দেখেন সেখানে কোনও চিকিৎসক নেই। এরপরে তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন হাসপাতালে আসা অন্য রোগীর আত্মীয়রাও। বুধবার বিকেলে এই হাসপাতালেই রামপুরহাট শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহম্মদ আজিমের মৃত্যু হয়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকা ওই ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে কি, হবে না তা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর আত্মীয়দের টালবাহানা চলে। তা নিয়ে অনেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপরে চটেছিলেন। শুক্রবারের ঘটনায় তাই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে জরুরি বিভাগে। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার, টেবিল। রামপুরহাট হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “জরুরি বিভাগে চিকিৎসক ছিলন না, তা কী করে হয়! হয়ত সেই সময় ‘কলবুক’ পেয়ে তিনি অন্তর্বিভাগে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা কোনও রোগীকে দেখতে গিয়ে থাকতে পারেন।” তিনি জানান, বাইরে রয়েছেন। হাসপাতালে ফিরে এ ব্যাপারে খোঁজ নেবেন।

পুজোর প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ
কালীপুজোর প্রসাদ খেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর-২ ব্লকের মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় দু’শো মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের প্রাথমিক চিসিার জন্য মৈতনা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে চারটি স্বাস্থ্যশিবির খোলা হয়েছে। কয়েক জনকে হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয়েছে। পঞ্চায়েত-সদস্য অলক নন্দ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে বকশিসপুর গ্রামের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন খান্ডার বাড়িতে কালীপুজো উপলক্ষে বুধবার দুপুরে স্থানীয় চার-পাঁচটি গ্রামের লোকজনকে পুজোর প্রসাদ খাওয়ানো হয়। পুজোর প্রসাদ খেয়েই দু’শোরও বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে বমি-পায়খানা শুরু করেন। পঞ্চায়েত সমিতির উপপ্রধান তমালতরু দাসমহাপাত্র গ্রামে যান। পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মীরা অসুস্থদের চিকিৎসায় হাত লাগান। রামনগর-২ ব্লকের মেডিক্যাল অফিসার নন্দিতা পট্টনায়েকের নেতৃত্বে ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মীরাও গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। নন্দিতাদেবী জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার দরুণই ২১২ জন গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বতর্মানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

পেটের গণ্ডগোল, হাসপাতালে ৭০
মহকুমার বিভিন্ন জায়গা থেকে বমি ও পেটের গণ্ডগোল নিয়ে দুর্গাপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৭০ জন। তাঁদের মধ্যে ১৮টি শিশু ও ১৪ জন মহিলা। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের আশঙ্কা, জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা। মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের দল পাঠিয়ে জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে।

মিটল দুর্ভোগ
চারটি রেডিওথেরাপি মেশিনের মধ্যে একটি খারাপ গত সোমবার থেকে। কারণ, যে ঘরে ওই মেশিন রাখা সেই ঘরের এসি বিকল। ফলে এক সপ্তাহ ধরে রেডিওথেরাপি নিতে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছিল ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালের বেশ কিছু রোগীকে। শুক্রবার বিকেলে এসি ঠিক হওয়ার পরে রেডিওথেরাপির ওই মেশিন চালানো গিয়েছে। হাঁফ ছেড়েছেন রোগীরা। ওই হাসপাতালের প্রধান অর্ণব গুপ্ত জানান, হাসপাতালে মোট চারটি রেডিওথেরাপি মেশিন আছে। একটি খারাপ হলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বিশেষ করে ওই মেশিনে এমন রোগীদের রেডিয়েশন দেওয়া হয় যাঁদের মস্তিষ্ক বা শিরদাঁড়ায় রোগ ছড়িয়েছে। সব মেশিন দিয়ে ওই জটিল জায়গায় রে দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “যাঁদের রেডিওথেরাপি পেতে দেরি হল, তাঁদের জন্য শনি-রবিবারের ছুটি বাতিল করে আমরা পরিষেবা দেব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.