স্বাস্থ্য দফতরের নিষেধাজ্ঞায় জায়গা বদল হল রক্তদান শিবিরের।
২৮ এপ্রিল, শনিবার শান্তিপুরের হরিপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনের মাঠে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে হরিপুর অঞ্চল কংগ্রেস। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছ থেকে মৌখিক ভাবে অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল বলে জানান কংগ্রেস কর্মীরা। সেই মতো বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে মণ্ডপ তৈরি শুরু হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই বিএমওএইচ সমরজিৎ অধিকারী ওই মাঠে রক্তদান শিবির বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এই নিষেধাজ্ঞায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা।
কংগ্রেস বিধায়ক অজয় দে বলেন, “খবর পেয়ে অবাক হয়েছিলাম। হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সেখানে প্রকাশ্যেই চলছে অসামাজিক কাজ। স্বাস্থ্যকর্তারা সে দিকে নজর দেওয়ার সময় পাচ্ছেন না, অথচ রক্তদান শিবির বন্ধ করে দিচ্ছেন!” অজয়বাবুর অভিযোগ, “শান্তিপুরের কিছু মানুশ রাজনৈতিক কারণে অই রক্তদান শিবির বন্ধের চেষ্টা করেছিল। তবে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ পাওয়ার পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির জমিতে শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এই রক্ত সংগ্রহে কলকাতার সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা আসছেন।
মুখে কুলুপ এঁটেছেন শান্তিপুরের বিএমওএইচ। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, হাসপতালের জমিতে কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান কর্মসূচির অনুমতি দিতে পারে না স্বাস্থ্য দফতর। এই রক্তদান শিবির নিয়ে যে বিভিন্ন অভিযোগ-আপত্তিও উঠেছিল তা জানিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “আমরা কোনও রাজনৈতিক বিতর্কে থাকতে চাই না। সেই জন্যই হাসপাতাল চত্বরে ওই শিবির বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হরিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের সুজিত বর্মন বলেন, “রাজনৈতিক কারণে সিপিএম ও তৃণমূল আমদের এই শিবির ভন্ডুল করতে চেয়েছিল। স্থানীয় মানুষ তা হতে দেননি।”
সিপিএমের শান্তিপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “যে কংগ্রেস নেতাকে জন্মদিনে ফুল পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, আজ সেই দলেরই রক্তদান শিবিরে বাধা দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর দলের লোক। আমাদের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত নন।” শান্তিপুরের তৃণমূল নেতা মৃণাল মৈত্র বলেন, “আমাদের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। এটা কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।” |