|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
পুনর্মুদ্রণে অবহেলা সম্পাদনায় |
বইপোকা |
নূতন বোতলে পুরাতন পুস্তক প্রকাশের ঢালাও আয়োজন এক্ষণে বঙ্গীয় বইপাড়ায়। গ্রন্থাগারগুলি ক্রমে উঠিয়া যাইতেছে, কিছু ধুঁকিতেছে, আরও কিছুর সংগ্রহ হইতে পুরাতন গ্রন্থ ‘নূতন’ হইয়া প্রকাশিত হইয়া যাইতেছে। কলিকাতায় এই অ্যাক নূতনের মাঝে সে দিন খবর আসিল কোনও এক লুপ্ত রত্নোদ্ধারের কারিকর গ্রন্থাগারে পুরাতন পুস্তকের পৃষ্ঠা ছিঁড়িতে গিয়া পাকড়াও হইয়াছেন। তবে এই প্রবণতার কিছু সুফলও আছে। জীর্ণ হইতে জীর্ণতর হইয়া লুপ্ত হইতেছে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ তাহারা প্রকাশককুলের সৌজন্যে নতুন জীবন পাইলে মন্দ কী? তবে কি না, পূর্ণ জীবন পাইতেছে ত? সংশয়টি তুলিয়া দিল মধু বসু-র আমার জীবন। গ্রন্থটি সম্প্রতি নূতন প্রচ্ছদে প্রকাশিত হইয়াছে প্রতিভাস হইতে। ইহাতে মোট ৭১টি সাদা-কালো আলোকচিত্র আছে। অথচ বাক্-সাহিত্য প্রকাশিত প্রথম সংস্করণটিতে ৭৫টি আলোকচিত্র ছিল। ‘এডেনের হোটেল’, হরেন ঘোষ, ডাঃ মৃগেন্দ্রলাল মিত্র এবং আলিবাবা-য় মর্জিনারূপে সাধনা বসুর চিত্র চারিটি কেন বাদ পড়িল তাহার কোনও উল্লেখ নাই দেবজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদকীয় নিবেদনে। অবশ্য অন্যের রচনা হইতে উদ্ধৃতির সংকলন-স্বরূপ সেই নিবেদনে এ হেন কাজের কথা প্রায় কিছুই নাই। তদুপরি এই নিবেদনের শেষাংশ এবং একই ব্যক্তি সম্পাদিত সাধনা বসুর আত্মকথা শিল্পীর আত্মকথা-র (প্রতিভাস) শেষাংশ অবিকল একই! উল্লেখযোগ্য প্রসঙ্গের টীকা ব্যতীত এত জরুরি দুইটি সিনেমা-ইতিহাসের ‘সম্পাদিত সংস্করণ’ কী করিয়া প্রকাশিত হয়, তাহাও আশ্চর্য বই কী! |
|
|
|
|
|