গত ১৩ এপ্রিল ‘সাত শিবের গাজন নবদ্বীপে’ শীর্ষক প্রতিবেদনে গবেষক প্রদ্যোৎকুমার গোস্বামী তাঁর নবদ্বীপ সমাজ ও সংস্কৃতি গ্রন্থে উল্লেখিত ‘বছরের অন্য সময় এঁরা (অর্থাৎ শিব বিগ্রহগুলি) পূজিত বর্ণ হিন্দু দ্বারা। কিন্তু চৈত্র মাসে তাঁরা হয়ে ওঠেন গণদেবতা। শিবের ভক্তরা সবাই অব্রাহ্মণ. . . ।” এ সম্বন্ধে জানাই যে, দণ্ডপাণির ক্ষেত্রে ব্যাপারটি অন্যপ্রকার। ওই শিবেরও চৈত্র মাসে ভক্ত হন অনেকে। কিন্তু মূল বিগ্রহটিকে সরিয়ে ফেলা হয়। ভক্তরা পাশে রাখা অনেকটা গৌরীবিহীন শিবলিঙ্গের ন্যায় মূর্তিকে ঘিরে পূজা-অর্চনা করেন। অনুরূপ ভাবে শিবরাত্রির দিনেও আসল বিগ্রহ সরিয়ে ফেলা হয়।
লক্ষ্মীকান্ত যশ, নবদ্বীপ
|
নদিয়ার ভালুকা বটতলা থেকে শান্তিপুর যাওয়ার রাস্তাটি এখন চালচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। রাতে চলাফেরা করা আরও কষ্টকর। ওই রাস্তার মাঝে মধ্যেই বিশাল বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। যেমন ভালুকা শান্তিভূষণ গার্লস স্কুলের কাছের রাস্তার গর্তটি। সাধারণ মানুষ তো বটেই, ছাত্রীরাও ভীষণ অসুবিধায় পড়ছে। যাঁরা জনসেবা করার দায় স্বেচ্ছায় কাঁধে নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে ঝাঁপিয়েছেন ও ঝাঁপান এবং দলের বিস্তার ঘটাতে বিস্তর ঘামও ঝরান, তাঁদের কাছে অনুরোধ, ওই রাস্তার দিকে একটু দৃষ্টিপাত করুন।
রাজকুমার ব্যাধ, জোয়ানিকা-ভালুকা
|
বিগত চার সপ্তাহ ধরে গুমানি দেওয়ানের উপর সাধন দাস ও দীপক বিশ্বাসের পত্রযুদ্ধ পড়লাম। ভাল লাগল। অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। সবিনয়ে জানাই, জিনদিঘি আজ গুমানি দেওয়ানের জন্য প্রসিদ্ধ এবং সেখানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতি বছর মেলা হয়। ফলে বহু মানুষের সমাগম হয় ও গবেষকগন গবেষণার সুযোগ পান কবিয়াল ও কবিগান সম্পর্কে। এই হল আসল তথ্য। যা আপামর জনগণ জানেন। এর বেশি জানতে ওই ‘পত্রযুদ্ধ’ই যথেষ্ট। কবিয়াল গুমানি দেওয়ানের জিনদিঘির মতো জঙ্গিপুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিত তথা দাদাঠাকুরের জন্য খ্যাত। আবার জঙ্গিপুর শহরের অনতিদূরে ধনপত নগর আলকাপ সম্রাট ঝাঁকসুর জন্য বিখ্যাত। এখানে ওই দুই বিরাট ব্যক্তিত্বের জন্য সরকারি স্তরে কোনও অনুষ্ঠান হয় না। প্রতিবছর আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রদ্ধার্ঘ জানালে, মেলার আয়োজন করা হলে ওই দুই গুণিজন সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম অনেক কিছু জানার সুযোগ পায়।
শান্তনু সিংহ রায়, জঙ্গিপুর
|
রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্যিখানে পড়ে আজও মোরাম রাস্তা থেকে পিচ রাস্তায় উন্নীত হতে পারল না দৌলতাবাদ থানার ছুটিপুর থেকে বসন্তপুর-বারবাকপুর হয়ে বহরমপুর যাওয়ার একমাত্র গ্রাম্য রাস্তাটি। শীত-গ্রীষ্মে ধুলোর বসন ও বর্ষায় হাঁটু সমান কাদা নিয়েই চলাফেরা করতে হয় এ তল্লাটের ডজন খানেক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে। পাশের গ্রামগুলিতে বেশ কয়েকটি ইটভাটা থাকায় লরি ও ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্যে রাস্তায় চলাচল আরও সঙ্গীন হয়ে পড়েছে। অথচ আমাদের মতো কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীকে ওই রাস্তা ধরেই দৌলতাবাদ ও বহরমপুরের বিভিন্ন স্কুল কলেজে যেতে হয়। বিকল্প রাস্তা না থাকায় দৌলতাবাদ থানা ও বাজারে যেতে হয় ওই একই রাস্তা ধরেই। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার সাধনে সব রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানাই।
রিংকি মণ্ডল ও সন্ধ্যা পাল, ছুটিপুর |