দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
দুর্ভোগের আশঙ্কা
রুদ্ধ নিকাশি
নেক জায়গায় এখনও আবর্জনা জমে রয়েছে সংস্কার হওয়া নিকাশির। কোথাও নিকাশির মুখে বর্জ্য জমে আছে। এ ছবি হালতু থেকে নিউগড়িয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার। ফলে বর্ষায় ভোগান্তির আশঙ্কায় ভুগছেন বাসিন্দারা।
হালতু থেকে নিউগড়িয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এই এলাকা কলকাতা পুরসভার বারো নম্বর বরোর ১০৭, ১০৮ এবং ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সংশ্লিষ্ট বরো সূত্রে খবর, এই সমস্যা নিয়ে বরো কমিটির বৈঠকে একাধিক বার আলোচনাও হয়েছে। সমাধানের মৌখিক আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কাজ খুব একটা এগোয়নি।
কেইআইপি-র আওতায় এই এলাকার নিকাশি ঢেলে সাজা হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানান, সংস্কারের কাজ দেখে মনে হয়েছিল জল জমার যন্ত্রণা থেকে শীঘ্রই রেহাই পাব। কিন্তু সংস্কার হওয়া নিকাশির অনেক জায়গায় এখনও আবর্জনা রয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় নিকাশির মুখ বন্ধ রয়েছে। ফলে এই বর্ষাতেও জল জমবে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের। হালতু, চৌবাগা, মুকুন্দপুর, কালিকাপুর, নয়াবাদ, বুধেরহাট, পঞ্চসায়র, গঙ্গানগর, গ্রিনপার্ক, বিকাশ গুহ কলোনি, রং পাড়া, অহল্যা নগর, ছিটকালিকাপুর এবং নিউগড়িয়া এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্সিলরদের বার বার সমস্যার কথা জানালেও এখনও মুক্তি মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ তালুকদারের কথায়: “ফি-বর্ষায় আমাদের জমা জলের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। এ বারও হবে বলে আশঙ্কা। এই যন্ত্রণা থেকে আমাদের নিস্তার পাওয়া খুব কঠিন।” তা ছাড়া বাইপাস সংলগ্ন এই এলাকায় আরও একাধিক প্রকল্পের কাজ চলছে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এর ফলে নিকাশি রুদ্ধ হতে পারে। ফলে বর্ষায় দুর্ভোগ বাড়বে।
এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের পার্থ রায়চৌধুরী। তবে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, “আমার ওয়ার্ডে এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।” যদিও ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের রুমকি দাসের কথায়: “এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। এখনও কেইআইপি-র করা নিকাশির অনেক জায়গা আবর্জনায় আটকে রয়েছে। কেইআইপির কাছে বার বার আবেদন করে কোনও লাভ হয়নি। বর্ষা এগিয়ে আসছে। আমিও আতঙ্কে রয়েছি।”
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে গিয়েছে। যতটুকু বাকি আছে বর্ষার আগে তা-ও করে দেওয়া হবে।”
বারো নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের দীপু দাসঠাকুর জানান, এই সমস্যা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কেইআইপি কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে। তাঁর কথায়: “কেইআইপি কর্তৃপক্ষ এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।” কেইআইপির প্রকল্প অধিকর্তা সুব্রত বণিক বলেন, “কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে তা আমাদের নির্দিষ্ট ভাবে জানালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”

ছবি: পিন্টু মণ্ডল।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.