টুকরো খবর
পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেফতার শ্বশুর
পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি দাঁতনের পুন্দড়া গ্রামের। ধৃত দেবেন্দ্র গোরায়কে বুধবার মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ওই বধূকে মেদিনীপুরের একটি হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুন্দড়ার বাসিন্দা দেবেন্দ্রবাবুর ছেলে কর্মসূত্রে সেকেন্দ্রাবাদে থাকেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় হোমে বড় হওয়া অনাথ এক তরুণীর। দু’জনে বিয়ে করেন। কয়েকমাস আগে স্ত্রীকে পুন্দড়া গ্রামে বাবা-মার কাছে রেখে সেকেন্দ্রাবাদে চলে যান দেবেন্দ্রবাবুর ছেলে। ওই বধূ পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে নির্যাতন করতেন। দেবেন্দ্রবাবু আগেও তাঁকে অশালীন প্রস্তাব দিয়েছেন। না মানায় অত্যাচার বাড়ে। গত সোমবার রাতে দেবেন্দ্রবাবু ধর্ষণের চেষ্টা করলে কোনও রকমে পালান তিনি। শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে সেকেন্দ্রাবাদে যাওয়ার জন্য অর্থসাহায্য চান। স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সচিব শ্রীমন্ত মণ্ডল, সূর্যকান্ত মূর্মূরা জানান, পরিচয় জেনে ওই মহিলার শ্বশুরবাড়িতে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চাননি ওই মহিলা। মঙ্গলবার সকালে গ্রামে সালিশি সভার সিদ্ধান্ত মতো তিন দিনের মধ্যে মহিলার স্বামীকে গ্রামে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি রাজি না হওয়ায় থানায় খবর দেওয়া হয়। অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ। গ্রেফতার করা হয় শ্বশুরকে। আদালতের নির্দেশে সেকেন্দ্রাবাদের ওই হোমে যোগাযোগ করছে পুলিশ।

বেসমেন্টে রান্না
জেলা পরিষদ চত্বরে রয়েছে শহিদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি পরিকল্পনা ভবন। ৫ তলা এই ভবনে একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, সর্বশিক্ষা মিশন-সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অফিস রয়েছে। আছে মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসও। এরই বেসমেন্টে গাড়ি রাখার জায়গা। বুধবার দুপুরে সেখানেই রান্না করছিলেন কয়েকজন গাড়ি চালক। খবর পেয়ে আসেন জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। এখানে রান্না করা যাবে না বলে নির্দেশ দেন। কথা বাড়াননি চালকেরা। তড়িঘড়ি রান্নার রঞ্জাম সরিয়ে নেন। পরে সভাধিপতি বলেন,“ বেসমেন্টে আগুন ধরে গেলে কী হবে? দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তখন তো আর কিছু করার থাকবে না।” তাঁর কথায়, “সম্প্রতি আমরি-কাণ্ড ঘটেছে। বেসমেন্টের মতো এলাকায় সব সময়ই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ছোট জায়গায় থেকেও আগুন দ্রুত ছড়াতে পারে।”

কেশিয়াড়িতে মেলা
মেলা ঘিরে উৎসাহ দেখা দিয়েছে কেশিয়াড়িতে। স্থানীয় সর্বমঙ্গলা মন্দির সংলগ্ন মাঠে মেলা বসেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার বাগবাজার রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী ঋতানন্দজি, গোপীবল্লভপুর মঠের মহন্তকৃষ্ণ কেশবানন্দ মহারাজ, বেহালার গৌড়িয় মঠের যতি মহারাজের উপস্থিতিতে কাশীশ্বর জিউয়ের বারোয়ারি মেলা শুরু হয়। ২১ দিন ধরে মেলা চলবে। প্রায় দু’শো বছর আগে সর্বমঙ্গলা মন্দির সংলগ্ন মাঠে মেলা শুরু হয়েছিল। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই মেলা হয়। মেলা ঘিরে এলাকার মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.