এ বার অস্থায়ী নিয়োগ
বাস ডিপোয় স্বাস্থ্য শিবির, অক্ষম কর্মী বেছেই স্বেচ্ছাবসর
বাস চালানোর জন্য যতটা ‘শারীরিক সক্ষমতা’ দরকার, বিভিন্ন পরিবহণ নিগমের অনেক কর্মীই ততটা ‘সুস্থ’ নন। অনেক কন্ডাক্টরও সারা দিনের সফরের ধকল নিতে পারেন না। ‘সুস্থ ও সক্ষম’ কর্মীর অভাবে পরিবহণ নিগমের অন্তত ৪০০ বাস দৈনিক বার করাই যাচ্ছে না। পরিবহণ নিগমগুলির দুরবস্থার মূলে আছে এই সব কারণও।
এই অবস্থায় ‘অক্ষম’ কর্মী শনাক্ত করার অভিযানে নামছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। এই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন বাস ডিপোয় চিকিৎসা শিবির করা হবে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে কর্মীদের। শিবিরের চিকিৎসকদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই অক্ষম কর্মীদের বেছে নিয়ে স্বেচ্ছাবসর নিতে বলা হবে বলে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র মঙ্গলবার জানান।
তা হলে কাজ করবেন কারা? পরিবহণ দফতর ঠিক করেছে, চুক্তির ভিত্তিতে ‘কর্মক্ষম’ যুবকদের কাজে নেওয়া হবে। এখনকার কর্মীদের মধ্যে যাঁরা অক্ষম, তাঁদের স্বেচ্ছাবসর দিয়ে ‘অস্থায়ী’ কর্মী হিসেবে নেওয়া হবে নতুনদের। মদনবাবু বলেন, “যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে নতুন বাস ও ট্রাম নামানো হবে রাস্তায়। আগামী দুর্গাপুজোয় শহরে যান চলাচলের একটা বড় মাধ্যম হবে সরকারি বাস ও ট্রাম।”
কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (সিএসটিসি), কলকাতা ট্রাম কোম্পানি (সিটিসি), উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এনবিএসটিসি), দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এসবিএসটিসি) এবং পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণ নিগম এই পাঁচ পরিবহণ নিগমের ‘স্বাস্থ্য’ উদ্ধারে উদ্যোগী হয়েছে নতুন সরকার। ওই সব সংস্থার আর্থিক অবস্থা এবং যাত্রী-পরিষেবা উন্নত করার পথ খুঁজতে এ দিন মহাকরণে নিগমগুলির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মদনবাবু। বৈঠকে ঠিক হয়েছে: • বিভিন্ন সরকারি ডিপো থেকে কখন, কোন রুটের বাস ছাড়বে, যাত্রীদের তা জানাতে ‘সময়সারণি’ তৈরি হবে। • ডিপো থেকে প্রতিদিন কত বাস বেরোচ্ছে, ক’টি বেরোতে পারেনি, রাতে তা খতিয়ে দেখা হবে। • কাজের পরিবেশ তৈরি করতে কর্মীদের নিয়ে মাঝেমধ্যে বৈঠক করবেন কর্তারা। বাস ও ট্রামে ‘স্মার্ট কার্ড’ চালু করার ব্যবস্থা হচ্ছে। • শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস সংখ্যা ও রুটের সংখ্যা বাড়ানো হবে। • বিভিন্ন রুটে ট্রলি-বাস চালানো যায় কি না, তা যাচাই করা হবে।
বিভিন্ন পরিবহণ সংস্থার পড়ে থাকা জমি থেকে আয় বাড়ানোর কথাও ভাবছে পরিবহণ বিভাগ। মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন নিগমের জমি ও সম্পত্তির তালিকা পরিবহণ দফতরে জমা পড়তে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই সব তালিকা পেশ করা হবে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে ফাঁকা জমি থেকে আয়ের পথ খুঁজে বার করার চেষ্টা হবে। বাসে খুচরো পয়সার অভাব একটা বড় সমস্যা। পরিবহণ দফতর সূত্রের দাবি, খুচরোর জোগান না-থাকায় দৈনিক প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা লোকসান হচ্ছে। ওই সমস্যার মোকাবিলায় আজ, বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন পরিবহণমন্ত্রী। বেতনের ব্যাপারেও পরিবহণ কর্মীদের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানান, কর্মীদের বেতন-সমস্যা মেটাতে এ দিন ৩২ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে কর্মীরা মার্চের বেতন পেয়ে যাবেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.