|
|
|
|
কোতুলপুর-কাণ্ডে ধৃত দুই নিমাই-সঙ্গী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোতুলপুর |
তৃণমূলের কোতুলপুর ব্লক কার্যালয়ে ভাঙচুর ও তা দখল করার অভিযোগে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নিমাই ঘোষের দুই অনুগামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হলেন দিবাকর দত্ত ও বাপি চট্টোপাধ্যায়। সোমবার রাতে কোতুলপুরে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হলে সাত দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
তৃণমূল নেতৃত্ব সম্প্রতি নিমাইবাবুকে সরিয়ে কোতুলপুর ব্লক সভাপতি করেন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী নেত্রী সুচিত্রা মাহাতোর স্বামী স্থানীয় রানাহাট গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর গড়াইকে। এর প্রতিবাদে নিমাইবাবু অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করেন। দল তাঁকে বহিষ্কার করলে রবিবার তিনি অনুগামীদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁর অনুগামীরা ছেনি-হাতুড়ি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কার্যালয় লেখা থেকে ‘তৃণমূল’ শব্দটি ভেঙে দিয়ে কার্যালয়টি দখল করেন। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ’র উপস্থিতিতে নিমাইবাবুরা কার্যালয়ের সামনে তৃণমূলের পতাকা নামিয়ে কংগ্রেসের পতাকা তোলেন। এলাকা থেকে তৃণমূলের ‘ফ্লেক্স-পোস্টার’ খুলে ছিঁড়ে ফেলা হয়। প্রবীর গড়াই সোমবার নিমাইবাবু ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে কোতুলপুর থানায় তৃণমূলের কার্যালয় দখল করার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনাকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে দাবি করেছেন জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির সভাপতি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “মানুষ দলবদল করতেই পারে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে এ ভাবে হেনস্তা করা রাজনৈতিক সৌজন্য বিরোধী।” তবে তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, “আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার জন্যই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ ওদের ধরেছে। কংগ্রেস অহেতুক রঙ ছড়াতে চাইছে।” তবে চেষ্টা করেও এ দিন নিমাইবাবু ও সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। |
|
|
|
|
|