|
|
|
|
বিদ্যুৎকেন্দ্রে চুরি, বিক্ষোভে তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁওতালডিহি |
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। রবিবার দলের সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে সাঁতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা হয়। সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা কমিটির সদস্য সিদ্দিক আনসারির অভিযোগ, এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দীর্ঘ সময় ধরে কয়লা ও লোহা চুরির ঘটনা ঘটছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও ফল হচ্ছে না।
সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বন্ধ হয়ে যাওয়া চারটি ইউনিট থেকে লোহা ও যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘ সময় ধরেই করে আসছেন। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের অভিযোগ, বিদ্যুৎকেন্দ্রে মোতায়েন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। সিদ্দিকের দাবি, “ওই চারটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই লোহা চুরির ঘটনা ঘটছে। প্রথম দিকে বিক্ষিপ্ত আকারে চুরি হলেও এখন তা সংগঠিত আকারে হচ্ছে। বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশের যোগসাজশ ছাড়া এটা সম্ভব নয়।” বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসা কয়লার ক্ষেত্রেও চুরির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রের খবর, কেন্দ্র আসা কয়লায় পাথর থাকে। সেই পাথর বাছাইয়ের কাজ করানো হয় বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাকে দিয়ে। সংখ্যালঘু সেলের অভিযোগ, পাথর বাছাইয়ের সময় উন্নত মানের কয়লাও পাথরের সাথে মিশিয়ে দিয়ে পাচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ও ৬ নম্বর ইউনিট দু’টি গড়ে ওঠার সময় থেকে এলাকার যে শ্রমিকরা কাজ করেছিলেন, বর্তমানে তাদের ছাঁটাই করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওই সংগঠনের।
রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম (পিডিসিএল) সূত্রে বলা হয়েছে, কয়লা ও লোহা চুরি ঠেকাতে সিআইএসএফ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এখনো কার্যকর না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। কারণ, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকভাবে চালানোর ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকছে। পিডিসিএলের এক আধিকারিক জানান, স্থানীয় পুলিশের কাছে চুরি বন্ধে সাহায্য চাওয়া হলে পাওয়া যায়। কিন্তু শুধু পুলিশের সাহায্যে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে চুরি বন্ধ সম্ভব নয় বলেই সিআইএসএফ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের নিয়মিত নজরদারিতে চুরি এখন অনেকটাই কম বলেও ওই আধিকারিকের দাবি। |
|
|
|
|
|