|
|
|
|
হুড়ার পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ, জেলে গেলেন শ্রমিকরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হুড়া |
একশো দিনের কাজের মজুরি নিয়ে গোলমাল তৈরি হওয়ায় পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন শ্রমিকরা। সেই ঘটনায় আট জন শ্রমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিচারকের নির্দেশে তাঁদের ১৪ দিন জেলহাজত হল।
ঘটনাটি হুড়ার লক্ষণপুর পঞ্চায়েতের। পুলিশ জানিয়েছে, পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান মীরা বাউরির সোমবার সেখানে আমঘাটা গ্রামের শ্রমিকেরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁর জানান, গ্রামের ৯৯ জন শ্রমিক গত ২০ মার্চ পঞ্চায়েতের কাছে কাজের আবেদন করেছিলেন। সেই মতো শ্রমিকদের খৈরি-পিহিড়া মাঝিপাড়া থেকে লোহারপাড়া পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজে লাগায় পঞ্চায়েত। শ্রমিকেরা জানান, প্রথমে স্থানীয় একটি শুকিয়ে যাওয়া পুকুর থেকে মাটি কেটে রাস্তায় ফেলা হচ্ছিল। |
|
সোমবার এই বিক্ষোভের জেরেই পুলিশ ধরে ৮ শ্রমিককে। ছবি: প্রদীপ মাহাতো। |
পাঁকযুক্ত মাটি রাস্তায় ফেললে বৃষ্টিতে রাস্তা খারাপ হয়ে যাবে বলে পরে পুকুরের মাটি রাস্তায় ফেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর দু’কিমি দূরের একটি মাঠের মাটি কেটে রাস্তায় ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে আমরা যত মাটি কাটছি, তার সব মাটি দু’টি ট্রাক্টরে নিয়ে আসা হচ্ছে না। তাই মাটি কাটার ভিত্তিতে, নাকি ট্রাক্টরে নিয়ে আসা মাটির পরিমাণের ভিত্তিতে আমাদের মজুরি দেওয়া হবে, তা পঞ্চায়েতে জানতে এসেছিলাম। উপপ্রধানও জানাতে না পারায় সামান্য বিক্ষোভ দেখান হয়। হুড়ার বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিত বলেন, “শ্রমিকেরা যেটুকু মাটি কেটেছে তার মজুরি তো দিতেই হবে।” বিক্ষোভ চলাকালীন দুপুরে পুলিশ গিয়ে আট জনকে গ্রেফতার করে। শ্রমিক ভজহরি মাহাতো, পল্টু মাহাতো, নিবারণ মাহাতোর প্রশ্ন, “কিন্তু গ্রেফতার করার মতো কী দোষ করা হয়েছে?” উপপ্রধান মীরা বাউরি বলেন, “শ্রমিকদের বক্তব্য শুনেছি। প্রধান ছিলেন না। পরে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হত। কিন্তু ওরা সরকারি কাজে বাধা দেয়।” এক সিপিএম নেতার কটাক্ষ, “তৃণমূল তো বছরভর প্রশাসনিক কার্যালয়গুলিতে বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি দেয়। এমন কি রাজ্যের ক্ষমতদায় যাওয়ার পরেও ওরা স্মারকলিপি দেওয়ার অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। তাতে কি সরকারি কাজে বাধা পড়ে না। অথচ, কয়েকটা গরিব মানুষ সামান্য প্রশ্নের উত্তর জানতে গিয়েছিল, তৃণমূলের উপপ্রধান তাঁদের জেলে পুড়ে দিল!” |
|
|
|
|
|