গণধর্ষণের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে হাড়োয়ার লতারবাগান এলাকা থেকে হামিদুল্লা মোল্লা এবং সাহাবুদ্দিন মোল্লাকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা ধর্ষিত মহিলার নিকট আত্মীয়। এই ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। হাড়োয়ার জ্যাঙ্গালআটি গ্রামে বাড়ি ওই মহিলার। ঝুপড়ি ঘরে বাস। ২০১১-র ৩০ অক্টোবর রাতের ঘটনা। বাড়িতে কেউ না থাকায় চার দুষ্কৃতী বাঁশের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই মহিলার মুখ বেঁধে অত্যাচার চালায়। খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পরিবারের লোকেরা বাড়ি ফিরে গুরুতর অসুস্থ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাড়োয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার পর মহিলার দাদা পুলিশের কাছে তাঁর বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগ দায়ের করেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মহিলা সুরত মণ্ডল, এরকান মণ্ডল, হামিদুল্লা মণ্ডল, সাহাবুদ্দিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মহিলার অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য দুষ্কৃতীরা তাঁকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তেরা সকলেই ওই মহিলার নিকট আত্মীয়। তিনজন মহিলার দেওর ও একজন ভাসুরের ছেলে। জমিজমা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গণ্ডগোল চলছিল। ধৃতেরা অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে। ধৃত সাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিবাদের জন্য মিথ্যা অভিযোগে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। ওই মহিলার সঙ্গে কয়েক জনের সম্পর্ক ছিল। পুলিশ তদন্ত করলে জানা যাবে, তাদেরই কেউ এই ঘটনায় জড়িত।” |