নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বামফ্রন্টের আমলে ১৫ বছর দৌড়োদৌড়ি করে কিছু হয়নি। নতুন সরকারের আমলেও গত এক বছর দৌড়ে তেমন কাজ এগোয়নি।
ভারতীয় হকিতে প্রথম অ্যাস্ট্রোটার্ফ এসেছে ১৯৭৬ সালে। ৩৬ বছরেও কলকাতা হকি অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসাতে পারেনি।
সব দেখেশুনে মনের দুঃখে বাংলা হকি সংস্থার সচিব পদ থেকে সরে যেতে চান হকি অলিম্পিয়ান গুরবক্স সিংহ। বিএইচএ-র নির্বাচন এ বারই। ১৬ বছরের সচিব গুরবক্স মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন, “আর আমি সচিব পদে দাঁড়াব না।” প্রাক্তন জাতীয় হকি অধিনায়কের ধারণা, “আমি বিএইচএ সচিব পদে থাকলে আর হকি অ্যাস্ট্রোটার্ফ কলকাতায় করা হবে না মনে হচ্ছে। আমি সরে গেলে যদি অ্যাস্ট্রোটার্ফ হয়, তা হলে ভাল। আমি সরে যাব।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছের লোক গুরবক্স। তবু হতাশ। মাসখানেক আগেও তিনি অ্যাস্ট্রোটার্ফের জন্য দরবারে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মমতা কথা বলতে বলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে। এক বছরেরও বেশি সময় হল, সল্টলেক স্টেডিয়ামের চৌহদ্দিতে জায়গা ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু আর কাজ এগোয়নি। গুরবক্স বললেন, “মমতা অতীতে আমাদের সাহায্য করেছিলেন রবীন্দ্র সরোবরে অ্যাস্ট্রোটার্ফের জায়গা দেওয়ার জন্য। আট বছর আগে। রবীন্দ্র সরোবরে ফুটবলের কিছু লোক করতে দেয়নি। এই আট বছরে তো ওখানে কিছুই হয়নি। কী লাভ হল তাতে?”
বিএইচএ-তে গুরবক্স বিরোধীরা বলছেন, হকি অলিম্পিয়ান সরে যাওয়ার হুমকি দিলেও শেষ পর্যন্ত থেকে যাবেন। নির্বাচনে দাঁড়াবেন। রাজ্য হকিতে তাঁর অনুগামীই বেশি। এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে গুরবক্স অবশ্য বলেন, “যে যা বলছে, বলুক। আমি সরে যাব। কারও প্রতি ক্ষোভে নয়, দুঃখে। এত দিনেও অ্যাস্ট্রোটার্ফের চেষ্টা করেও কিছু হল না। সাইতে অ্যাস্ট্রোটার্ফে হকি লিগের কিছু ম্যাচ হচ্ছে। কিন্তু ওখানে এত টাকা দিতে হচ্ছে, সব ম্যাচ সম্ভব নয়। তা ছাড়া ওখানে তো খেলা দেখারই জায়গা নেই।” |