বার্সেলোনা-২ (বুস্কেতস, ইনিয়েস্তা)
চেলসি-২ (রামিরেস, তোরেস) |
দশ জনে খেলে ২-২ ড্র করে চেলসিই খেলবে মিউনিখের ফাইনালে। লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছিটকে গেল। দু’পর্ব মিলে ২-৩ হেরে।
আগের বুধবার সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে যা খেলা দেখছিলাম যেন তারই রি-প্লে দেখছিলাম প্রথম ২৫ মিনিট পর্যন্ত। সেই বার্সেলোনার পাসিং ফুটবল। একসঙ্গে আট-ন’জন মিলে আক্রমণ। উল্টো দিকে চেলসির ন’জন মিলে রক্ষণ। আর দুর্ধষ পের চেক।
কিন্তু বাকি ম্যাচটা হল বেশ নাটকীয়। জন টেরির লাল কার্ড। লিওনেল মেসির পেনাল্টি মিস। দশ মিনিটের মধ্যেই চেলসির স্টপার কাহিলের মাসলে টান ধরে বেরিয়ে যাওয়া। নিজেদের গোলকিপারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পিকের মাঠ ছাড়া। ইনজুরি টাইমে তোরেসের গোল। |
টেরির লাল কার্ডটা হওয়ার আগেই বার্সেলোনা ১-০ এগিয়ে গিয়েছিল। বাঁ দিক থেকে ইসাক কুয়েঙ্কার পাসে ছোট্ট টোকায় গোল করে যান বুস্কেতস। বক্সের ঠিক সামনে আলেক্সি সাঞ্চেজকে অযথা ফাউল করে লাল কার্ড দেখল টেরি। রক্ষণের প্রধান স্তম্ভকে হারিয়ে চেলসি দশ জন হয়ে পড়ায় বার্সেলোনার আরও গোলের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ল। মেসির পাস থেকে ইনিয়েস্তা ২-০ করে ফেলল কয়েক মিনিটের মধ্যেই।
এর পরেই আত্মতুষ্টিতে ভুগে গোল খেয়ে গেল বার্সেলোনা। পুওল আর মাসচেরানো থাকছিল রক্ষণে। হঠাৎই চেলসি প্রতি-আক্রমণে উঠে ২-১ করে ফেলল। রক্ষণাত্মক মিডিওর ভূমিকায় চলে যাওয়া ল্যাম্পার্ড উপরে উঠে অসাধারণ পাস বাড়িয়েছিল রামিরেসকে লক্ষ্য করে। রামিরেসের চিপটাও ছিল দুর্দান্ত। গোললাইন ছেড়ে এগিয়ে আসা ভালদেসের মাথার উপর দিয়ে চিপেই চেলসি টিকে রইল ম্যাচে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বার্সেলোনা পেনাল্টি পেল দ্রোগবা ফাব্রেগাসকে ট্যাকল করায়। মেসি পেনাল্টিটা মারল ক্রসবারে। তার পর আবার সেই গত সপ্তাহের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। খেলা চলল ল্যাম্পার্ডদের বক্সের সামনে। চেলসির আক্রমণ করার স্ট্র্যাটেজি ছিল না। দশ জনে হয়ে যাওয়ায় তাদের সেই সুযোগও বিশেষ ছিল না। তবু এক-দু’বার বেশ পরীক্ষার সামনে পড়ল পুওল-মাসচেরানোরা। আর বার্সার ফুটবলাররা ড্রিবল না করে শুধু পাসিং-এর উপর নির্ভর করে রইল।
বার্সেলোনা কুয়েঙ্কার পাস থেকে প্রথম গোলটা পেলেও আদর্শ রাইট আউটের মতো খেলতে পারছিল না প্রথমে। প্রচুর ব্যাক পাস করছিল। দু-এক বার ক্রস তুলল ঠিকই। তবে তা খুব কার্যকর হয়নি। পরে সে জন্যই বাঁ দিকে চলে গিয়েছিল। মেসির ভাগ্যেও এ দিন গোল ছিল না। ম্যাচের শুরুতে ডান পায়ের শট বাইরে গেল। আর তার কিছু পরে চেককে একা পেয়েও বল মারল চেলসি গোলকিপারের পায়ে। আট মিনিট বাকি থাকতে মেসির শট ফিরল পোস্টে লেগে। |