|
|
|
|
পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ আঁধারনয়নে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা রোড ও গোঘাট |
ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের ধরতে আসা পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধল গ্রামবাসীর। হুগলির গোঘাটে একটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের ধরতে সোমবার রাতে গোঘাট লাগোয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডের আঁধারনয়ন গ্রামে এসেছিল গোঘাট থানার পুলিশ। তখনই গোলমাল বাধে। জখম হন গোঘাট থানার ওসি প্রশান্ত চট্রোপাধ্যায়-সহ একাধিক পুলিশকর্মী। বাঁশ ও শাবল দিয়ে ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। পুলিশও লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ৪ গ্রামবাসী জখম হন। প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা মঙ্গলবার সকালে আঁধারনয়নে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রোড সড়ক অবরোধ করেন। শতাধিক গ্রামবাসী চন্দ্রকোনা রোড ফাঁড়িতেও বিক্ষোভ দেখান। পরে স্থানীয় থানার পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে স্থানীয় থানাকে না জানিয়েই চন্দ্রকোনা রোডের আঁধারনয়ন গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় রাজু গায়েন ও শেখ আসাদুলকে গ্রেফতার করতে আসে গোঘাট থানার পুলিশ। বিশাল পুলিশ-বাহিনী গ্রামে ঢুকতেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা বাধে। স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামে ঢুকেই অভিযুক্ত দু’জনের বাড়ি দেখাতে স্থানীয় কয়েক জনকে চাপ দেন পুলিশকর্মীরা। কারণ জানতে চাইলে তর্কাতর্কি শুরু হয়। চিৎকার চেঁচামেচিতে লোক জড়ো হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কোনও কথা না শুনেই মারধর শুরু করে পুলিশ। তৃণমূলের স্থানীয় আমশোল অঞ্চল সভাপতি গনেশ ঘোষ বলেন, “রাতে ফোনে খবর পেয়ে আমি স্থানীয় থানার ওসির সঙ্গে কথা বলি। তিনি বিষয়টি জানতেনই না। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ আসতেই পারে। কিন্তু দুষ্কৃতী ধরতে এসে মহিলাদের সঙ্গে ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে গোঘাট থানার পুলিশ খুব খারাপ ব্যবহার করেছে।” গড়বেতা থানার ওসি শৈলেন বিশ্বাস বলেন, “আঁধারনয়নে একটা ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে মঙ্গলবার পথ আবরোধ হয়েছে, ফাঁড়িতে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে গোঘাট থানার পুলিশ আমাদের কিছুই জানায়নি।” গোঘাট থানা সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, আঁধারনয়ন গ্রামটি চন্দ্রকোনা রোড ও গড়বেতার সীমানা এলাকায় হওয়ায় গড়বেতা থানাকে জানানো হয়েছিল। গত বৃহষ্পতি ও শনিবার গোঘাটের ভগবানপুর এবং হাজিপুর হাটতলায় দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। তিন কিলোমিটারের মধ্যেই ওই দু’টি ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের খুঁজতেই সোমবার রাতে আঁধারনয়ন গ্রামে গিয়েছিল গোঘাট থানার পুলিশ। তবে সেখানে গ্রামবাসীর সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধায় পুলিশ যায় গড়বেতা থানার মোহনপুর গ্রামে। সেখান থেকে সন্টু খান নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়াও বাঁকুড়ায় ডাকাতি-সহ নানা দুষ্কর্মে সন্টু অভিযুক্ত। মঙ্গলবার আরামবাগ আদালতে হাজির করা হলে ধৃতকে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক। |
|
|
|
|
|