হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে ঘনজনবসতির মধ্যে অবস্থিত একমাত্র পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। পুকুরটি নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। ফলে এলাকায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, এটি কার্যত বুজে যাওয়ায় এলাকায় কোনও অগ্নিকাণ্ড ঘটলে জলের সমস্যাও দেখা দেবে বলে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। বর্তমানে পুকুরটিতে অনেকে প্রস্রাব করছেন। আবর্জনা ফেলছেন। ফলে চারি দিকে নোংরা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মশা মাছির উপদ্রব বেড়েই চলেছে। |
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
পুকুরটির সামনে রয়েছে সারদাচরণ ইন্সটিটিউশন নামে হাইস্কুল। এ ছাড়াও আছে শতাধিক দোকান, থানা, ব্লক প্রশাসন কার্যালয়, সব্জি-বাজার প্রভৃতি। এই পুকুরটিই ছিল এলাকায় জলের জোগানের একমাত্র সূত্র। স্থানীয় বাসিন্দা তারক মেটে বলেন, “এক সময়ে পুকুরটি বেশ সুন্দর ছিল। দু’দিক বাঁধানো ঘাট ছিল। পরিধিও ছিল বিশাল। কিন্তু এখন আর কিছুই নেই। প্রায় ১৫ বছর ধরে সংস্কার না-হওয়ার ফলে পুকুরটি বুজে গিয়েছে। কোথাও আগুন লাগলে এখান থেকে জল পাওয়া যাবে না।”
পুকুরটির মালিক স্থানীয় জমিদার পরিবার। যদিও এই পরিবারের অন্যতম উত্তরাধিকারী গীতা চট্টোপাধ্যায় বললেন, “পুকুরটি আমরা সারদাচরণ ইন্সটিটিউশনকে দান করে দিয়েছি। তবে এর সংস্কারের ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারাই এর সংস্কার করবে।” হরালি-উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তপন দলুই বলেন, “পুকুরটি সংস্কারে মৎস্য দফতর থেকে পরিদর্শন করে গিয়েছে। এই দফতরই সংস্কার করবে বলে আমাদের জানিয়েছে।” অন্য দিকে, সারদাচরণ ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক প্রশান্তকুমার রানা অবশ্য বলেন, “জমিদার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে আমাদের স্কুলকে পুকুরটি দান করা হয়নি। এটা করা হলে পুকুরটি আমরা স্কুলের পক্ষ থেকেই সংস্কার করতে পারি।” |