ঝাড়খণ্ডের ২০১০ সালের রাজ্যসভার নির্বাচনে লেনদেন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করার পর রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক চন্দ্রশেখর দুবে লেনদেনের অভিযোগ আনলেন তাঁর নিজের দলেরই বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, দলীয় প্রার্থীকেই ভোট দেওয়ার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা তাঁকে ২৫ লক্ষ টাকা দিতে চান। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
তাঁর অভিযোগ সম্পর্কে আজ চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, “২০১০ সালে রাজ্যসভার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য আগাম উপঢৌকন হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দলেরই কয়েক জন নেতা আমার কাছে এসেছিলেন। আমি টাকার বান্ডিল-সহ ওই নেতাদের ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।” ওই সময় এআইসিসির তরফে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বে ছিলেন কেশব রাও। এ সব ঘটনা কেশব রাও খুব ভাল মতো জানেন বলে রাজ্যের বিশ্রামপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের কংগ্রেস বিধায়ক চন্দ্রশেখর দুবের দাবি। প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক চন্দ্রশেখবরবাবু বলেন, “আমি টাকা নিতে অস্বীকার করায় দলের ওই নেতারা আমার আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেন।” চন্দ্রশেখরবাবুর দাবি, তখনই এক জন নেতা বলে ওঠেন, দলের সব বিধায়কদের জন্যই ২৫ লক্ষ টাকা করে ব্যবস্থা হয়েছে। তাহলে তিনি নিচ্ছেন না কেন?
সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে বিষয়টি না-তুলে রাজ্যসভা নির্বাচনের মুখে ভোট কেনার অভিযোগে দলের বিরুদ্ধে সরব হলেন কেন? এত বড় দুর্নীতির সাক্ষী হয়েও ২০১০-এর রাজ্যসভার ভোটের পর এত দিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন কেন? এ সবের কোনও জবাব অবশ্য মেলেনি। তবে এরই মধ্যে চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, “আমি জাতীয় কংগ্রেসের একজন কর্মী। দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নির্দেশ মেনেই দলের কাজ করি। অতএব, দলীয় প্রার্থী প্রদীপ বালমুচুকেই ভোট দেব।” |