ট্রেনের টিকিট কাটা নিয়ে বচসার জেরে এক রেলকর্মীকে মারধর করলেন এক দল যাত্রী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হল তাঁর। মঙ্গলবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের আদ্রা-গোমো শাখায় ঝাড়খণ্ডের খানুডি স্টেশনের ঘটনা। আদ্রার ডিআরএম অমিত কুমার হালদার বলেন “যাত্রীদের হাতে নিগৃহীত হয়ে কর্মরত অবস্থায় ওই রেলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। রেলের তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে আরপিএফ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”
পুরুলিয়ার বলরামপুরের বাসিন্দা হরিপ্রসাদ লাল বেগি (৫৮) নামে ওই ব্যক্তি ধানবাদের খানুডি স্টেশনের চিফ বুকিং সুপারভাইজার ছিলেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ খানুডি স্টেশনে আসে গোমো-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার। বেশ ভিড় ছিল কাউন্টারে। ওই ট্রেনের টিকিট কাটতে আসা কিছু যাত্রীর সঙ্গে বচসা বাধে কাউন্টারে থাকা হরিপ্রসাদবাবুর। যাত্রীরা অশ্রাব্য গালাগাল দিয়ে হরিপ্রসাদবাবুকে কাউন্টার থেকে টেনে বাইরে এনে তাঁর উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। ডিআরএম বলেন, “ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান তিনি। অন্য কর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।”
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ভোজুডি থানা থেকে খানুডি স্টেশনে যান আরপিএফের কর্মীরাও। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিকেলে স্টেশনে যান রেলের ভোজুডি এরিয়া ম্যানেজার এবং আদ্রা ডিভিশনের পদস্থ কর্তারাও। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনায় যুক্তরা স্থানীয় বাসিন্দা। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
বলরামপুরের বরাভূম স্টেশনের কাছে হরিপ্রসাদবাবুর বাড়িতে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তাঁর স্ত্রী বিমলাদেবী। খবর পেয়ে ছোট ছেলে সুরেশকে নিয়ে খানুডি রওনা হন তিনি।
বড় ছেলে রাজেশ পরিবারে অকস্মাৎ এমন ঘটনায় হতবাক। তিনি বলেন, “শুনেছি যাত্রীরাই বাবাকে মারধর করেন। বাবা কোনও দিন কোনও বিবাদে থাকতেন না। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল কিছুই বুঝতে পারছি না।” |