অরুণ জেটলি, জয়া বচ্চন, বিলাসরাও দেশমুখ, রেণুকা চৌধুরি, রাজীব শুক্ল, চিরঞ্জীবী, রবিশঙ্কর-সহ প্রায় পাঁচ ডজন সাংসদ আজ রাজ্যসভায় শপথ নিলেন। কিন্তু নজর কাড়লেন এক জনই। কুমারী মায়াবতী। লখনউয়ের গদি হারিয়ে ফের দিল্লির অলিন্দে ‘বহেনজি’। আর সংসদে পা রাখতেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে হারের পরেই তিনি রাজ্যসভায় আসার সিদ্ধান্ত নেন। আজ সংসদে শপথ নিতে আসার সময়েই প্রায় রাজকীয় কায়দায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানালেন বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদরা। সার বেধে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। কখন ‘বহেনজি’ আসবেন, আর তাঁরা পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেবেন। তাঁদের মধ্য দিয়েই নিজের মেজাজে রাজ্যসভায় প্রবেশ করলেন মায়াবতী। সেখানেও একই ছবি। তাঁকে ঘিরেই ভিড়, জটলা।
মায়াবতীকে দেখেই নিজের আসন থেকে উঠে এলেন অরুণ জেটলি। পিছন পিছনে বেঙ্কাইয়া নায়ডু, রবিশঙ্কর প্রসাদ। কংগ্রেস শিবির থেকে অভিনন্দন জানাতে এলেন পবন বনশল, রাজীব শুক্ল, রেণুকা চৌধুরি। প্রবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদবও সুযোগ পেয়ে বেশ কিছু ক্ষণ একান্তে কথাবার্তা সারলেন মায়ার সঙ্গে। এনসিপি-র তারিক আনোয়ার, জেডি(ইউ)-এর শিবানন্দ তিওয়ারী বাদ গেলেন না কেউই। একটু অপরিচিত সাংসদদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন ছায়াসঙ্গী সতীশ মিশ্র। প্রথম সারিতে নিজের আসনটিও সতীশ ছেড়ে দিলেন নেত্রীকে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মায়াবতীর উপরে ভরসা করছে কংগ্রেস। কিন্তু মুলায়ম-অখিলেশের সঙ্গে কংগ্রেস যত ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে, বিজেপিও সেই সুযোগে মায়াবতীর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে নিতে চাইছে। সংসদে প্রবেশের সময়ে ধাঁধা বাড়িয়ে মায়াবতীও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “আগে রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হোক। তার পর আমাদের অবস্থান জানাব।”
শপথ নেওয়ার পরেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছে উঠে গেলেন উত্তরপ্রদেশের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মনমোহনও পাল্টা অভিনন্দন জানালেন তাঁকে। গেলেন বাকিরাও। তবে ৫৬ জনের মধ্যে ব্যতিক্রম ঘটল শুধু এক জনের ক্ষেত্রেই। নিতিন গডকড়ীর ঘনিষ্ঠ বিতর্কিত শিল্পপতি অজয় সনচেতি শপথ নিয়ে তাঁর কাছে যাওয়ার পরে ফিরেও তাকালেন না মনমোহন। সিডি বিতর্কে জড়িয়ে পড়া অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিরও আজ রাজ্যসভায় শপথ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিতর্ক এড়াতে আগেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কক্ষে গিয়ে শপথ নিয়ে নেন তিনি। |